হেফাজত কথা


আমাদের গ্রামে যে মসজিদটা আছে- ওটার ইমাম ছিলেন মাওলানা দলিলুর রহমান। যদ্দুর মনে আছে ভদ্রলোক এমএম (মোহাদ্দেছ) এবং পরবর্তীতে বিএ (পাস) কোর্সও কমপ্লিট করেছিলেন। ওনার কাছ থেকেই আমি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পড়াশোনা পদ্ধতি এবং কিছুটা সেলেবাস সম্পর্কে জানতে পারি।
 
দাখিল (এসএসসি), আলিম (এইচএসসি), ফাজিল (গ্রাজুয়েট), কামিল (পোষ্ট গ্রাজুয়েট) ডিগ্রীগুলি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।
 
আরও কিছুকাল পরে আমি ‘বেশ কয়েকবার জাতীয় পুরুষ্কারপ্রাপ্ত’ একটি এতিমখানা ও মাদ্রাসা’র সংগে কিছুটা ঘনিষ্ঠ হবার সুযোগ পাই। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, এর সুপারিনটেনডেন্টসহ অনেক শিক্ষকের সংগেই আমি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলি। সেই সুবাদে তাদের পরিচালনার ধরণ, বই পত্র, শিক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কেও জানতে পারি।
 
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমার চোখ এড়িয়ে যায়নি যে, সমাজের অতি নিম্নবৃত্ত ও পিছিয়ে পরা একটি জনগোষ্ঠীর পরিবার থেকেই সাধারণতঃ মাদ্রাসা শিক্ষায় আসে অধিকাংশ ছেলেরা। আমি দায়িত্ব নিয়ে এবং নিজস্ব অপারগতা থেকে বলছি, আমি শুধুমাত্র ঢাকা জেলার (ঢাকা মহানগরীর বাইরের অংশ) দু’একটি থানার উপরে আমার দেখা ও অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি।
 
সুতরাং আমার এই অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান সম্পূর্ণ দেশ নিয়ে নয়।
কাজেই আমার এক্ষেত্রের পর্যবেক্ষনগত কিছুটা ভুলও থাকতে পারে।
 
মাদ্রাসা পাঠ্যক্রম এর সেলেবাস আমি যদ্দুর দেখেছি- তার মান অত্যন্ত করুণ। একটা পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে যাবার কোন পাঠ্যক্রম আমি তাতে দেখিনি।
 
কিন্তু শুধুমাত্র আরবী ও ইসলামী শিক্ষার অাধিক্যের কারণে ওখান থেকে পড়াশোন শেষ করে আমি কাউকে ‘শিক্ষা শেষে বেকার’ জীবন-যাপন করতে দেখিনি বা চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতেও দেখিনি। এদের কাউকে আমি ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি করতেও কোনদিন দেখিনি।
 
ফাইনালী মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা শেষ করে কাউকে দেশের বোঁঝা হতে হয় না।
 
উপরোন্ত, মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরেকটু বিজ্ঞানভিত্তিক ও শক্তিশালি করা গেলে, সংগে কারিগরী বিভাগটা যোগ করা গেলে- আমার তো মাঝে মধ্যেই মনে হতো যে- দেশের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থারই প্রয়োজন থাকতো না; চাইলে ওটাকেও সার্বজনিন করা যেত।
 
কিন্তু সমস্যা হলো- মাদ্রাসা শিক্ষায় ‘বাইরের জগৎ’ সম্পর্কে কিছুই সেভাবে শিখানো হয় না, শুধুই নিজ ধর্ম সম্পর্কে ব্যাপক শিক্ষা দেয়া হয়। মানুষকে একমুখী করে ফেলা হয়।
 
কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সেভাবে কোন প্রাতিষ্ঠানিকতা ছিলনা বলে এবং আমার এলাকায় দেখার সুযোগ না হবার কারণে আমার ধারণা অত্যন্ত অল্প। আর অল্প জ্ঞান নিয়ে কোন মন্তব্য করাটা শুধুমাত্র অসুন্দরই নয়- অনৈতকতাপূর্ণও বটে। সুতরাং আমি কিছু বলবো না।
 
তারপরও কাওমী মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করা কিছু লোকদের সংগে আমার কথা বলার বা চলার সামান্য সুযোগ হয়েছে বিভিন্ন পেক্ষাপটে। সততার অভাব আমি এদের মধ্যে বলতে গেলে কখনোই দেখিনি কিন্তু যেটা আমি বিরক্তসহাকরে দেখেছি- ‘এরা ধৈর্য্যহীন, নিরীহ কিন্তু প্রায়শয়ই আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন, অতি সামান্যতেই ‘মনের বিপরীত কিছু’ মেনে না নেবার মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। এদের জ্ঞান-বুদ্ধি শুধুই নিজ ধর্ম ও বিশ্বাসের আনুষ্ঠানিকতায় পূর্ণ। বাইরের জগৎ সম্পর্কে এদের জানা-শোনা অত্যন্ত কম।
 
আর বাংলাদেশের ‘বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা’টি তো বর্তমানে শ্রেফ মানুষকে গরু বানানোর একটা কারখানা বৈ কিছুই না। (এ বিষয়ে শীগ্রই লিখবো ইনশাল্লাহ)।
 
আমি তখন ক্লাস এইট বা নাইন এ পড়ি। আমাদের মসজিদে- বাংলাদেশের অন্য দশটি এলাকার মতোই ‘সামাজিক মতভিন্নতায়’ ইমামকে বাদ দেয়া হলো। এবং আজান ও নামাজে ইমামতীর দায়িত্ব গিয়ে বর্তালো এই অধমের উপর। মসজিদের চাবিও থাকতো আমার কাছে।
 
কোন এক দিন আসরের আজান দিতে মসজিদে গিয়ে দেখি মসজিদের সামনে প্রায় জনা বিশেক মুসুল্লি বারান্দায় তাদের পুটলী-পটলা রেখে সামনের জায়গায় গর্ত করে চুলা বানিয়ে রান্না বান্নায় ব্যস্ত।
 
তাদের সংগে কথা হলো।
এটা না কি তাবলীগ জামাত।
 
তারা চিল্লায় এসেছে। থাকবে সম্ভবত দিন তিনেক আমাদের ঐ মসজিদে।
তারা মানুষকে মসজিদে নামাজের দাওয়াত দিবে।
 
প্রায় প্রতি ওয়াক্ত নামাজান্তেই তারা মানুষকে জোর করে কিছু বই থেকে কয়েকটা প্যারা পড়ে শোনাতো। আর গ্রামের রাস্তায় হেঁটে হেঁটে সকল মানুষকে মসজিদে আসতে অনুরোধ করতো।
 
এবং অতপর দিন কয়েক পর অন্য এলাকায় চলে যেত।
আমি সত্যিই তাদের ‘প্রকৃত উদ্দেশ্য’ বুঝতে ব্যর্থ হই সেদিন।
 
আরব রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ (সা) এভাবে কোনদিন ধর্ম প্রচার করেছেন বলে আমার জানা নেই।
 
এদের বাৎসরিক একটা মিশন হয় ঢাকার কাছে টংগীতে তুরাগ নদীর পাড়ে। সেখানে উর্দূ বা হিন্দী ভাষায় ওয়াজ হয়। তারপর কথিত ‘আখেরী মোনাজাত’। সদলবলে বাস ট্রেন নিয়ে সেখানে মানুষ জমায়েত হয়।
 
আমি তাবলীগ জামাতের কোন অর্জন খুঁজে পাই নাই কোনদিনও।
মানেও বুঝি না।
 
তাবলীগ জামাত করে কেউ সমাজকে পাল্টে দিতে পেরেছে বলেও শুনিনি।
 
অপর দিকে তাবলীগ জামাতের সবচে বড় ও প্রধানমত সমস্যা হলো এরা ইসলাম ধর্মে রাজনীতি দেখতে পায় না; প্রকান্তরে মুহাম্মদ (সা) যে একটা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রবর্তক এবং সেই রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান সেটাকেই তারা অস্বীকার করে যা ইসলামের মূল আদর্শকে অস্বীকার করা।
 
ঠিক এই একই অস্বীকার তো সেকুলার, বামরা ও আম্লীগরাও করে।
তাহলে তাবলীগদের সংগে ওদের পাথ্যক্যটুকু থাকলো কোথায়?
 
ইসলামের ব্যাপকতা বিশাল। তাবলীগ ইসলামে অতিক্ষুদ্র গন্ডিতে আবদ্ধ দেখতে ভালোবাসে।
 
ক্ষুদ্রতা ও ইসলাম একসংগে যায় না।
 
মুহাম্মদ (সা) মানুষকে কলেমার দাওয়াত দিয়েছেন।
তাঁর ‘কলেমা’ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে- কিছু ‘ক্ষমতালোভী স্বার্থপর মানুষ’ তখন তাকে শত্রু ভাবতো, তাকে হত্যা করতে আসতো। মুহাম্মদ (সা) তাঁর সেই ‘কালেমা’ দিয়ে একটা রাষ্ট্র তৈরী করে ফেলেন।
 
আর অপরদিকে, আমাদের তাবলগি জামাতের কলেমা পড়রার ধরণ দেখলে মনে হয়ে সদলবলে তারা ভিক্ষুকের বেশে পিকনিক করতে বেড়িয়েছে। আমি বিরক্ত হই।
 
যা থেকে কোন মহৎ অর্জন হয় না- আমি তাতে সমর্থন দিই না। পছন্দও করি না।
 
যা-ই হোক। হেফাজতে ইসলাম নামক গ্রুপটি সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাচ্ছিলাম। বাংলাদেশে কাওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যাটি যে এতটা বড় সেটা আমারও ধারণার বাইরে ছিল।
 
একজন তো দেখলাম একটা অার্টিকেল-ই লিখে ফেলেছেন যে- ‘হেফাজত নেক্টটে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে’!
 
কয়েকটা কথা বলা দরকার।
তারমধ্যে সবচে সহজ কথাটা হলো, ‘বড় হবার কোন শর্টকার্ট রাস্তা নেই’।
 
কিন্তু দুঃখজনক সত্যটি হলো, ‘বাংলাদেশে সকলেই খুব শর্টকার্টে বড় হতে মরিয়া’, অনেকে আবার হয়ও।
 
বাংলাদেশই এই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যে দেশে খুব সহজেই চতুরতা, অনৈতকতা, ক্ষমতা ও দায়িত্বহীনতার স্মার্ট ব্যবহার দিয়ে অতি সহজেই বিলিয়ন ডলারও আয় করা যায় এবং অতি শর্টকার্ট রাস্তায়।
এই পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এটা সম্ভব নয়।
 
আবার বাংলাদেশে অনেকেই ‘অতি শর্টকার্ট’ রাস্তা ব্যবহার করে ‘অতি পপুলার’ও হতে চায়।
 
আর শাহবাগ ছিল ঠিক তেমনিই একটা মঞ্চ।
এই সমাজের কিছু কথিত শিক্ষিত, সুচতুর ও বাচাল শ্রেনীর লোকজন মিলে জন্ম দিয়েছিল শাহবাগের!
 
এদের দু’টি লক্ষ্য ছিল। প্রথমতঃ নিজেকে ‘বিশাল সেলিব্রেটি’তে পরিণত করা। এবং বিশাল টাকা-পয়সার মালিকানা হাতে নেয়া। দু’টোই ছিল ‘শর্টকার্ট রাস্তা’র উপর অর্জন করার লক্ষ্য।
 
আমি প্রথম দিনেই শাহবাগীদের শঠতাপূর্ণ আচরণ ধরে ফেলতে সক্ষম হই। এক মুহুর্তের জন্যও সেখানে যাবার প্রয়োজন বোধ করিনি।
 
আমার একজন ফ্রেন্ড ওই শাহবাগীদের ১০ হাজার প্যাকেট বিরীয়ানী পাঠিয়েছিলেন। আমার সংগে কথোপকথনে তিনি বেশ উৎসাহ নিয়ে প্রকাশও করলেন, নিজের সমপৃক্ততা জাহির করতে। বলতে দ্বিধা নেই তিনি বাংলাদেশের একজন ‘বিশাল মানুষ’ এবং আমি তাকে সৎ ও বুদ্ধিমান মানুষ বলেই জানি। কিন্তু তিনি সবসময়ই আমার যুক্তিকে শ্রদ্ধা করতেন। আমি ঠিক সে মুহর্তেই তাঁকে শাহবাগ যে শ্রেফ একটা ভন্ডামী এবং এর স্থায়িত্ব হবে স্বল্প মেয়াদী তার স্বপক্ষে কিছু তথ্য, তত্ত্ব ও যুক্তি তুলে ধরি।
 
তিনি লজ্জা পান এবং পরবর্তীতে সেখানে আর কোন সাহায্য করবেন না বলে আমাকে কথা দেন। আমি ভদ্রলোকের নামটি প্রকাশ করতে পারছি না।
 
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের মূল নেতৃত্বে ও মেজর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত শাহবাগ কার্যক্রমকে মিডিয়ায় প্রচারণায় আনতে শেখ হাসিনার সরাসরি সহায়তাও গোপন থাকেনি।
 
এবং শতকিছুর পরও আজ শাহবাগে ‘ওদের’ সংখ্যা ২৭-২৮ জনের বেশী আর হয় না!
 
কিন্তু মজার বিষয়টা ছিল শাহবাগীদের সেই পরিকল্পিত উত্থানের বিপরীতে সম্পূর্ণ ভাবনা-চিন্তার বাইরে গিয়ে মঞ্চে আবির্ভাব হয় ‘হেফাজতে ইসলামের’র।
 
হেফাজতে ইসলাম সেদিন ধর্মপ্রাণ মানুষের সামনে কতবড় আশা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল- তা যে স্বচোক্ষে না দেখেছে- সে ভাবতেও পারবে না। মিলিয়ন মিলিয়ন সহজ সরল দাড়ি টুপিওয়ালা সাধারণ মানুষ যে কতবড় একটা শক্তি সেটা অভাবিতভাবে সকলের সামনে চলে আসে।
 
মিলিয়ন মিলিয়ন সহজ সরল গ্রাম্য মানুষের ধর্মবিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘সরল উপস্থিতি’ সরকারকেও প্রথমে ভেবাচেকায় ফেলে দেয়!
 
কিন্তু সরকারেরও বুঝে উঠতে সময় লাগেনি যে, ওসব সহজ মানুষগুলি শ্রেফই গ্রামের সহজ সরল মানুষ। জামায়াত-শিবিরের মতো ট্রেইন্ড না। তারা লড়াই করতেও জানে না। আর সেই সুযোগেই সরকারী বাহিনীর নিলর্জ্ব আক্রমনের মুখে তারা পালিয়ে যায়, নিহত হয়, পরাস্থ হয়।
 
আমি যদ্দুর জানি শাহ আহমেদ শফী সাহেব কোন রাজনীতিবিদ নন। তার কোন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষও নেই।
 
সময়ের প্রয়োজনে এবং মাঠশূণ্য মাঠে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন।
দেশের ধর্মপ্রাণ গণমানুষের মনের কথা মুখ ফুটে তিনি ঐ সময় বলতে পেরেছিলেন।
 
তিনি বেশ সহজ সরলভাবেই তখন এবং এখন ঠিক একই ভাবেই চেয়েছিলেন দেশে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ হোক এবং তার নেতৃত্বধীন কাওমী মাদ্রাসার সরকারী আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিলাভ।
 
আমার কোনদিনও মনে হয়নি শাহ আহমেদ শফি সাহেব এরচে বেশী কিছু চেয়েছেন বা নিজেকে এরচেও বেশী যোগ্যতা সম্পন্ন দাবী করেছেন।
 
শাহ আহমেদ শফি সাহেব বিএনপি বা জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক নন। ছিলেনও না কোনদিন।
 
বিএনপি জামায়াতের ব্যর্থতার সুযোগে তিনি সামনে চলে এসেছেন।
 
তার হতে সুযোগ ছিল সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত মুর্তি অপসারণের বিরুদ্ধে আরও জোড়ালো ভূমিকা নেবার। কিন্তু ৫ই মে’র রাতের সরকারী হত্যাকান্ডের সবচে ক্ষতিগ্রস্থ তো তিনি নিজেই!
 
সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা তাকে আরও সামনে এগুতে দেয়নি।
আর ঝানু পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা শাহ আহমেদ শফি সাহেবকে শ্রেফ পলেটিক্স দিয়ে পরাজিত করেছেন।
 
শাহ আহমেদ শফি সাহেব তার কাওমী মাদ্রাসার সনদ পেয়েছেন- এটাই তার জন্য যথেষ্ঠ। বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু কাওমী মাদ্রাসার সনদ দেয়নি।
 
শফি সাহেব কিছু তো পেয়েছেন।
কেন তিনি আবার মৃত্যুর ঝুকি নিবেন?
 
হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক দল নয়, তাদের কোন রাজনৈতিক অভিলাষ নেই।
 
বিএনপি-জামায়াত রাজনীতি করে- সুতরাং রাজনীতি তাদেরই করতে হবে।
 
শফি সাহবেরা মাঝে মধ্যে সামনে চলে আসেন পলেটিক্স বোঝেন না এবং পলেটিক্স করেন না বলে। ওনারা তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থের বাইরে যেতেও অপরাগ।
 
তবে, শফিসাহেবরাও যে একটা বড় শক্তি, এবং ফাইনালী দেশের সাধারণ জনগনই যে সবচে বড় শক্তি এটা দেশের রাজনীতিবিদরা এবং সাধারণ জনগণরাও যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে- তত তাড়াতাড়িই দেশের মঙ্গল।
 
প্লিজ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করুন।
‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’ এবং সরকারকে নয় ‘গণমানুষকে মুল্যায়ন’ করুন।
 
শর্টকার্ট রাস্তায় নয়, যোগ্যতা দিয়ে ধীরে সুস্থে বড় হোন।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *