অাপনার টাকা | আমার টাকা


প্রথম এলসি টা করলাম।
তখনও ইমপোর্টের বিজনেস এর বিষয়ে আহামরি কোন নলেজ নেই বললেই চলে।
 
২০০৪ বা ২০০৫ এর ঘটনা বলছি।
তখন পিএসআই (প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) এর দায়িত্বে ছিল ‘কটেকনা’।
 
কটেকনা থেকে আমাকে একদিন ফোন করা হলো। আমার সংগে আমার করা এলসি’র বিষয়ে না কি খুব জরুরী আলোচনা আছে। ফোনে কিছুতেই কিছু বলতে রাজী হচ্ছে না।
 
গেলাম ওদের অফিসে। যদ্দুর মনে পরে অফিসটা ছিল কাওরান বাজারে।
আর আমার অফিস পান্থপথ। সুতরাং ওয়াকিং ডিসটেন্স।
 
আমাকে জানানো হলো- আমার কোম্পানীর ‘ভ্যাট’ সার্টিফিকেটে ‘ইমপোর্ট’ লিখা নেই- সুতরাং আমার মালামাল চিটাগাং পোর্ট থেকে খালাস করা সম্ভব হবে না। আমি যেন আমার ভ্যাট সার্টিফিকেটটি সংশোধন করে ‘ইমপোর্ট’ কথাটাও সংযুক্ত করিয়ে আনি।
 
হ্যাঁ। তখন রমজান মানের শেষার্ধ।
সেগুন বাগিচার ভ্যাট অফিস খুঁজে বের করলাম।
 
সেখানে পরিচিত হলাম একজন স্টাফ তোফায়েল সাহেবের সংগে।
তিনি আমার যাবতীয় পেপারস্ দেখলেন। তাকে বিস্তারিত জানালাম এবং বললাম, আমার ভ্যাট সার্টিফিকেটটিতে ‘ইমপোর্ট’ কথাটা যোগ করে দেন।
 
তোফায়েল সাহেব তার বসের সংগে কথা বলে এসে আমাকে বললেন, বুঝেন-ই তো রমজান মাস। খরচটা একটু বেশীই হবে। আপনি ঈদের পরের সপ্তাহে অফিস খুললে এসে নিয়ে যাবেন। আমি সব করে রাখবো। ৫০০০ টাকা দিতে হবে।
 
মেজাজটা গরম হলো।
কিন্তু মাঝে মধ্যে গরম মেজাজও ঠান্ডা রাখতে হয়।
আমার ‘পেপারস’টা না হলে- অনেক টাকার মালামাল আটকে থাকবে। সুতরাং বার্গেনিং এ গিয়ে সময় নষ্ট করাটা ঠিক হবে না। আমি মেনে নিলাম।
 
তোফায়েলকে পুরো ৫০০০ টাকাই এডভান্স দিয়ে আসলাম।
সামনে ঈদ। হারামের টাকায় না হয় তার ও তার অফিসারের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে কিছু কিনে খাওয়াবে!
 
ঈদের পরের সপ্তাহ এলো।
আমি গেলাম।
 
না, তোফায়েল সাহেবদের ঈদ তখনও শেষ হয়নি।
উনারা আসলেন অফিস খোলার ৩দিন পর।
 
আমাকে দেখে কাছে ডাকলেন। মিষ্টি ব্যবহার। চা অফার করলেন।
আমি বললাম, ‘ভাই আমার হাতে সময় নেই। সার্টিফিকেটটা দেন, আমি চলে যাবো। আমার মালামাল সিটাগাং চলে এসেছে ছাড়াতে হবে।’
 
তোফায়েল সাহেব এবার অন্য সুরে কথা বলা শুরু করলেন। ‘দেখেন একটু সমস্যা আছে। আমরা তো সার্টিফিকেটটা আপনাকে দিতে পারবো না।’
 
এবার আমার মেজাজটা গরম না করে কোন উপায় নেই। ‘কি সমস্যা? যখন টাকাটা নিলেন তখন সমস্যা দেখেনি?’
‘প্লিজ রাগ করবেন না। আমাদের ইনচার্জ স্যারের সংগে কথা বলেন, তিনি আপনার সংগে নিজে বিষয়টা বুঝিয়ে বলবেন।’
 
আমি ভেতরে গেলাম। ভ্যাট কর্মকর্তা।
সুন্দরভাবে হ্যান্ডশেক করে আমাকে বসতে বললেন।
আমি বসলাম। তিনিই কথা বলা শুরু করলেন, ‘ভাই, আসলে সমস্যাটা হলো আপনি যখন ভ্যাট সার্টিফিকেটটি করিয়েছিলেন তখন আপনার অফিস ছিল মালিবাগ। আপনার কোম্পানীটি লিমিটেড কোম্পানী এবং একটি টেলিকম কোম্পানী। অার যেহেতু টেলিকমিউনিকেশনস বিজনেস, সেহেতু আপনার সংগে বিটিআরসি এবং টিএন্ডটি’র সংগে সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মানুযায়ী আমাদের যা করতে হবে তা হলো আগে বিটিআরসি এবং টিএন্ডটি কে চিঠি দিতে হবে আপনার কোম্পানীর সংগে তাদের কোন পাওনা-দাওনা রয়েছে কিনা। ওখান থেকে উত্তর পেলে তারপর আমরা আপনার ফাইলটি ক্লোজ করে মোহাম্মদপুর ভ্যাট অফিসে ট্রান্সফার করে দেবো। তারপর মোহাম্মদ ভ্যাট অফিস আপনার বরাবরে আপনার পছন্দসহই ‘ভ্যাট সার্টিফিকেট’ তৈরী করে দেবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শেষ করতে মাস তিনেক লেগে যাবে।’
‘আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেবার সময় কি এই কথাগুলি আপনারা জানতেন না?’ আমি সরাসরি তার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম।
বেচারা একটু ভেবাচেকা খেয়ে গেল। সম্ভবত ওনাকে এভাবে কেউ সরাসরি আক্রমন করে কথা বলে না কখনও।
খুব ঠান্ডা মাথায় তিনি আমাকে বললেন, ‘দেখেন ভাই, টাকা যেহেতু খেয়েছিই- তাহলে এটা ‘ভালো বুদ্ধি’ দিই আপনাকে- টাকাটা উসুল হয়ে যাবে।’ বলে হাসলেন। এরপর বলতে থাকলেন, ‘আপনি একটা কাজ করেন। থানায় একটা জিডি করেন যে আপনার ট্রেড লাইসেন্সটি হারিয়ে গেছে। সেই জিডি কপি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে নতুন একটা ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে নিয়ে আসেন। যেহেতু আপনারটা লিমিটেড কোম্পানী, সেহেতু অন্য কোন উপায় নেই। যেই কাজটা করবেন, নতুন ট্রেড লাইসেন্সএ পুরাতন ঠিকানাটা লিখতে দিবেন না। ওদের ২/৩শ টাকা দিলেই ওরা আর লিখবে না। ব্যাস, আপনার ট্রেড লাইসেন্স নতুন মোড়কে এবং সম্পূর্ণ নতুন ঠিকানা হয়ে গেল। পুরাতন কোন তথ্যই থাকলো না। এবার চলে যান মোহাম্মদপুর ভ্যাট অফিসে- ওখানে গিয়ে নতুন একটা ভ্যাট সার্টিফিকেট নিয়ে নিন এবং তাতে আপনার যা যা দরকার তাই তাই লিখে নিন। এবার বলেন, বুদ্ধিটার মূল্য ৫০০০ টাকার কম কি না?’
 
আমি মজা পেলাম।
হ্যা। আমার জন্য ঐ মুহুর্তে এটা সেরা বুদ্ধিই ছিল।
 
আমাদের দেশে ‘বুদ্ধি’র কোন অভাব নেই।
 
যাই হোক। এবার মূল কথায় ফিরি।
আগেও বলেছি বহু বহু বার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সুবাদে ভারতীয়দের অনেক আইন-কানুনই আমার মুখস্থ। তাদের একটা আইন নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যেই আজকের লেখা।
 
ভারতীয়রা আইনের বিষয়ে খুবই সতর্ক।
ভারত, বাংলাদেশ বা মালয়েশিয়ার মতোই করাপ্টেড কান্ট্রি। কিন্তু তারা আইন অমান্য করে ঘুষ খুব কমই খায়।
 
ভারতের একটা মজার আইন রয়েছে।
সেটা হলো, ‘ইন্ডিয়ান কারেন্সী’ বিদেশে নেয়া যাবে না বা বিদেশ থেকে কোন ইন্ডিয়ান রুপি নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করা যাবে না। অর্থাৎ দ্বিতীয় কোন দেশ থেকে ইন্ডিয়াতে ঢুকার সময় আপনার সংগে কোন ইন্ডিয়ান রুপি থাকতে পারবে না। আপনাকে বিদেশী কারেন্সী নিয়েই ঢুকতে হবে। ইভেন বাংলাদেশী টাকা নিয়ে ঢুকলেও তাদের আইনে কোন সমস্যা নেই।
 
সহজ উত্তর হলো, ‘ভারতীয় রুপি একবার ভারতের বাইরে গেলে- সেটা মুল্যহীন কাগুজে নোট- তার কোনই মূল্য নেই’।
 
তারপরও আমি অনেক সময়ই ‘ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য’ বাংলাদেশ থেকে কম মূল্যে ইন্ডিয়ান রুপি নিয়েও ঢুকতাম।
 
তাছাড়া আমাকে তো কেউ আটকাতো না। তাই সুযোগ নিতাম। তাছাড়া বড় কথা হলো, ডলার রেট কোলকাতায় ভাল পাওয়া যায়, বেনাপোল বর্ডার অথবা দমদম এয়ারপোর্টের তুলনায়।
 
আমি আইনের মানুষ নই।
ওসব বিদেশী আইন জানার আমার কোন বাধ্যবাধকতাও নেই।
 
কিন্তু এই আইনটা বাংলাদেশ ব্যাংকের জানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কারণ ভারত আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ। সে দেশের সংগে আমাদের প্রতিনিয়ত চাই বা না চাই অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
 
কোলকাতায় আর মুম্বাইতে বাংলাদেশী ব্যাংকের ব্রাঞ্চও রয়েছে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ কি?
তাদের কাজ হলো দেশের অর্থনীতিকে পাহাড়া দেয়া।
 
পাবলিক মানি হেফাজদের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর। জনগণের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে হেফাজত করতে হবে। এটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ। এবং একমাত্র কাজ।
 
একজন গর্ভর্ণর, কয়েকজন ডেপুটি গর্ভর্ণর, অসংখ্য ‘ডি’ আর ‘এডি’ সেখানে উচ্চ বেতন নিয়ে সেই টাকার পাহাড়া দিচ্ছে।
সেই পাহাড়া এতটাই শক্তিশালী যে, সাধারণ মানুষ ঐ ব্যাংকের ভেতরেই ঢুকতে পারে না।
 
বাংলাদেশ থেকে আপনি মরে গেলেও আপনাকে কোন টাকা বিদেশে পাঠাতে দেয়া হবে না। তাতে, তাদের চাকুরী ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
 
গত বছর ওনারা নিজেরাই ১২ হাজার কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছেন, সেটার কোন হিসাব ওনারা দেন নি। কোনদিন দেবেনও না। সেটা দেখা যাবে ‘মিসেলিনিয়াস’ হিসাবেই থেকে যাবে। ১২ হাজার কোটি টাকা কোন টাকা হলো?
 
সেই দুষ্ট রাখাল বালক ড. আতিয়ার রহমান এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সম্ভবত উনি এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট এবং আন্তজার্তিক হ্যাকিং এর উপর লেকচার দেন, প্রবন্ধ লিখবেন; হয়তো নোবেল নেবার তদবীরও করবেন। তাকে নিয়ে চেতনাবাজরা ‘রাখাল থেকে গভর্ণর’ নামের বাংলা সিনেমা তৈরীরও হয়তো মহড়া শুরু করে দেবে শিগগিরই।
 
যাই হোক, মাস দু’য়েক আগে চরম সাম্প্রদায়িক নেতা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্লাস টু-তে পড়ুয়া বাচ্চাদের মতো রাগ করে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষের সমুদয় ৫০০ ও হাজার রুপির কারেন্সী বাতিল ঘোষনা করে দিয়েছেন।
 
তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন- ‘ভারতীয় রুপি একটা দারুণ খেলনা’; এটা নিয়ে ছেলে খেলা করা যায়। প্রকান্তরে তিনি ভারতীয় অর্থনীতির ‘বাস্তব অবস্থান’টাও যে ফাঁস করে দিয়েছেন- সেটাও বুঝে উঠতে পারেন নি। শত কোটি মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে।
 
বাংলাদেশ থেকে ভ্রমনরত হাজার হাজার বাংলাদেশী রোগী, ষ্টুডেন্ট, টুরিস্টকে পরতে হয়েছে চরম বিব্রতকর ও নরকীয় অবস্থায়।
 
ওসব নিয়ে আমি আগে একটা আর্টিকেল লিখেছি- অনেকেই পড়েছেন; ঠিক যেদিন নোট বন্ধ ঘোষনা হলো- সেদিনই আমি লিখেছিলাম।
 
সেই নোট বন্ধের প্রায় দুই’আড়াই মাস পর ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ আবিষ্কার করেছে যে, ‘তাদের কাছে প্রায় ৫০ কোটি ভারতীয় রুপি মজুদ রয়েছে’।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক জানেই না যে, ভারতীয় রুপি বিদেশে মজুদ যোগ্য নয়।
 
এই হলো বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভেন্টদের দায়িত্ব পালনের প্রকৃত চিত্র।
 
এদের দেশের মানুষের কষ্টের ট্যাক্সের টাকায় চড়া বেতনে আপনার আমার টাকা পাড়াদারের চাকুরী করে। আমার টাকা আমাকে বিদেশে পাঠাতে দেয় না। আমাকে বিদেশের সংগে ব্যাবসা করার সুযোগ দেয় না।
 
কিন্তু এই এরাই গত বছর আপনার-আমার ১২ হাজার কোটি টাকা চুরি করে খেয়েছে।
তাদের স্ত্রী পুত্র-কন্যার চাহিদা মিটিয়েছে এই ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে।
 
তাদেরকে কোন জবাবদিহিতা করতে হয়নি।
কে জবাব চাবে?
 
যে জবাব চাবে- সে নিজেই তো আরও বড় চোর।
স্বয়ং অর্থমন্ত্রী মাল যে কিনা বলে ৪ হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না।
ওগুলি মালের বাবা দিয়ে গিয়েছিল- সেজন্য ওগুলি কোন টাকাই না।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক এই মাসে হঠাৎ আবিষ্কার করেছে তাদের কাছে ৫০ কোটি ভারতীয় রুপি জমা রয়েছে। তারা রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংক সংগত কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংকে কোন পাত্তা দেয়নি।
 
এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছে- তিনিও তাদের আইনের বাইরে কেন যাবেন?
 
এবং অবশেষে গতকাল সেটা কালের কন্ঠে নিউজ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন চেষ্টা করছে ৫০ কোটি রুপি ভারত সরকার ফেরত নিবে!
 
এই ৫০ কোটি রুপিরও কোন হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনদিন কারো কাছেই দিতে হবে না।
 
রাষ্ট্রে হাজার হাজার লাখ লাখ কোটি টাকা এভাবেই প্রতি বছর চুরি করা হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে, বেহাত হচ্ছে। কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই।
 
পাবলিক মানি থেকে ওসব সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা সবার আগে তাদের বেতনটা নিয়ে নিচেছ, বোনাসটা নিয়ে নিচ্ছে।
 
আর আমরা সকলে কিছুই দেখছি না।
 
৪ হাজার কোটি টাকা কোন টাকা হলো?
১২ হাজার কোটি টাকা কোন টাকা হলো?
৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিং কোন বিষয় হলো?
৫০ কোটি রুপি কোন টাকা হলো?
 
যে দেশে ১০ টাকার জন্য একজন মানুষকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে রাস্তায় নির্মম নির্যাতন করা হয়, যে দেশের কোটি কোটি যুবক কর্মহীন টাকার অভাবে। যে দেশের লাখো যুবতী সামান্য কিছু টাকার জন্য নিজের সর্বস্ব বিকিয়ে দেয়- সেদেশে এমন টাকার অপব্যবহার হয় প্রতিনিয়ত।
 
এগুলি অাপনার টাকা।
এগুলি আমার টাকা।
 
আমি এসব সহ্য করবো না।
আমি চোখ বন্ধ করে এসব দেখতে পারবো না।
 
আপনি চোখ বন্ধ করে রাখুন।
এবং একদিন নিশ্চিত অন্ধ হয়ে যাবেন।
 
আপনার চোখ থাকা আর না থাকার মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *