ফেনসিডিল


ছয় সালের একটা ঘটনা বলি। ছয় মানে হলো ২০০৬।
 
ছেলেটার নাম মাজেদ।
গালভরা দাড়ি। সাদা লম্বা জুব্বা পরে। সারাক্ষন আল্লাহ ছাড়া তার মুখে কোনও কথা নেই।
 
ছেলেটাকে আমার বেশ পছন্দ হলো। বয়স ত্রিশ বত্রিশ। আমি ওর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলাম। দিল। সংগে ওর বায়োডাটা, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, অষ্টম শ্রেণী পাশ মাদ্রাসা সার্টিফিকেটও। প্রায় ১২ বছরের অভিজ্ঞতা গাড়ী চালানোর। আমি ওর পরিবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিলাম; তাছাড়া রেফারেন্সটাও খারাপ ছিল না।
 
সবকিছুই পছন্দ হলো।
 
আমি ওকে নিয়ে নীচে নামলাম; গাড়ীর চাবী দিলাম। আমি বসলাম ড্রাইভারের বা পাশের সীটে। তার গাড়ী স্টার্ট দেবার স্টাইলই বলে দিল সে কতটা এক্সপার্ট ড্রাইভিং এ।
ছোট একটা টেষ্ট ড্রাইভও দেখলাম- দুর্দান্ত।
 
আমার পছন্দ হলো। নিয়োগ দিলাম ওদিনই।
 
তার কাজ কর্মে আমি অত্যন্ত খুশী। তাকে নিয়ে আমি কোথাও যাচ্ছি- নামাজের সময় হয়ে গেছে, গাড়ী পার্ক করে রেখে দ্রুত নামাজটা পরে আসবে। আমি ওর এ বিষয়টাতেও খুব খুশী।
একটা পর্যায়ে আমিও ওকে মনে করিয়ে দিতাম ‘মাজেদ, যাও আগে নামাজটা পরে আসো’।
 
এভাবে বেশ ভালই চলছিল। আমি পরিচিত সকলের কাছে আমার ড্রাইভারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলাম। ছেলেটাকে আমি সত্যিই খুব পছন্দ করতাম। সে ঠিক-ঠাক গাড়ী পরিষ্কার রাখতো। ব্রেক ওয়েল ঠিক আছে কি না, মবিল কখন চেঞ্জ করতে হবে, এয়ার ফিল্টার মাসে একবার চেঞ্জ করতেই হবে ইত্যাদি সে সবসময় আমাকে আপডেট দিত। গাড়ীতে কোন সমস্যায় পড়তে হতো না। সে আগের দিনই জেনে রাখতো আমার পরবর্তী দিন কি কাজ রয়েছে; সে অনুযায়ী গ্যাস ভরে রাখতো।
 
একদিন কোন এক বিষুদবার।
মাজেদ অনুমতি নিয়ে অফিসে আমার রুমে ঢুকলো, ‘স্যার, কাল তো শুক্রবার; আপনি কি গ্রামে যাবেন?’
আমি প্রচন্ড টায়ার্ড ছিলাম। ওকে বললাম, ‘না মাজেদ। এই শুক্রবারটা ঘুমাবো; কোথাও যাবো না। শরীরে কুলাচেছ না। কাল তোমাকে আসতেও হবে না। তুমি তোমার পরিবারকে সময় দাও, রেষ্ট নাও’।
 
সে একটু আমতা আমতা করে বলল, ‘স্যার, আমার এক রিলেটিভ এর বিয়ে আগামী কাল। ওদের বাড়ী ফেনী। আমার এক ভাই একটা গাড়ী খুঁজছিল ভাড়ায়- ওখানে যাবে বিয়ে খেতে; কালই ফিরবে। স্যার যদি কিছু মনে করেন- কাল তো আপনার গাড়ী ফ্রি-ই থাকবে; যদি গাড়ীটা দিতেন তাহলে ওদের নিয়ে যেতাম; ওরা কিছু টাকাও দিতে চাচ্ছে গাড়ী ভাড়া বাবদ’।
 
‘মাজেদ, তুমি তো জানো এটা আমার প্রাইভেট গাড়ী- তাছাড়া আমিতো গাড়ী ভাড়া দিই না।’
‘স্যার, এজন্যই তো বলছি। ওরা একটা টিপটপ গাড়ী চাচ্ছে। তাছাড়া ওরা খুবই ভালো। স্যার যদি আমার দিকে একটু খেয়াল করে হলেও দিতেন। স্যার, রাত ৯টার আগেই ফিরে আসবো। তাছাড়া কোথাও যদি যান আপনার তো আরেকটা গাড়ীও রয়েছে।’
 
ছেলেটাকে আমি পছন্দ করি।
চিন্তা করলাম ও তো ভাল ড্রাইভ করে, গাড়ীরও যত্ন নেয়। তাছাড়া গাড়ীটা তো বসেই থাকবে। নিক।
 
মাজেদ বলল ও খুব ভোড়ে গাড়ী নিয়ে যাবে। আমি ওকে চাবি দিয়ে দিলাম আর আমার এপার্টমেন্টের রিসিপ্টশনে বলে রাখলাম।
 
সারাদিন রেষ্ট নিয়ে সন্ধ্যার শরীরটা বেশ ফুরফুরে লাগছিল।
টিভি দেখছিলাম। আস্তে আস্তে রাত বাড়তে শুরু করলো। কখন রাত ১টা বেজে গেছে খেয়ালই করিনি। হঠাৎ মাজেদ এর কথা মনে হলো। ও তো ফিরে নি, এতো রাত হয়ে গেল।
 
মাজেদ এর মোবাইলে একটা কল দিলাম। মোবাইল বন্ধ। আবারও দিলাম। বন্ধ। একটু দুঃচিন্তা হলো, কোন এক্সসিডেন্ট করলো না তো? নীচে ইন্টারকমে জানলাম, ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে ফিরেনি।
 
কিছুই বুঝতে পারলাম না।
আমার একটা দুর্দান্ত গুন হলো, আমি কোন কিছুতেই টেনশন করি না, টেনশন আসে না। যা হবার সেটা তো হবেই। টেনশন করে কি আর সমস্যা আটকানো যাবে?
 
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ১০টার দিকে।
দেখলাম মোবাইলে ৪/৫টা কল একটা আননোন নাম্বার থেকে।
 
কল ব্যাক করলাম। ওপ্রান্ত থেকে এক মহিলার কন্ঠস্বর।
‘স্যার, আমি ড্রাইভার মাজেদ এর বউ। সে সহ আপনার গাড়ী গতকাল কুমিল্লায় আটক হয়েছে’।
আমি জানতে চাইলাম, ‘কেন আটক হয়েছে? কি সমস্যা?’
‘স্যার আমি তো এতো কিছু জানি না।’
 
আমি চিন্তা করতে থাকলাম- কি কি সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কিছুই পেলাম না।
কুমিল্লায় আমার একটা পরিচিত ছেলে রয়েছে, রাজনীতি করে। খুব চোট-পাট কথা বলে। ওর নাম শরীফ। শরীফকে ফোন করলাম। বললাম আমার গাড়ী নাম্বার এবং ড্রাইভারের নাম। ওকে বললাম কুমিল্লা থানায় খবর নিতে।
 
ও একটু পর ফোন করে বলল- ‘থানায় আপনার গাড়ী আটক হয়নি’?
‘তাহলে?’
শরীফ বলল, ‘আমাকে আরেকটু সময় দেন। আমি খবর লাগাইছি। আপনাকে জানাচ্ছি’।
 
মিনিট ত্রিশেক পর শরীফ আবার ফোন করলো। ‘আপনার গাড়ী ও ড্রাইভারকে ফেনসিডিলসহ কুমিল্লা ডিবি পুলিশ আটক করেছে- আপনার গাড়ীতে ফেনসিডিল পাওয়া গেছে।’
 
‘কি? ফেনসিডিল! আমার গাড়ীতে?’ আমি হতবাক হয়ে গেলাম। তাছাড়া ড্রাইভার মাজেদ ফেনসিডিল পাচার করছিল আমার গাড়ী নিয়ে! আমার জীবনে এতটা হতবাক কোন দিনও হয়নি। বিষয়টা মানতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল।
কিন্তু বাস্তবতাকে মানতেই হবে। দ্রুত চিন্তা করছি কি করবো।
 
আমার এক কাজিন ঢাকা কোর্টের নাম করা উকিল। তাকে ফোন দিলাম। তিনি বললেন, ‘তুমি কোন টেনশন করো না; যেহেতু ড্রাইভার কাজটা করেছে সেহেতু তার পানিশমেন্ট হবে; তবে তোমার গাড়ীটি ছাড়িয়ে আনতে একটু ঝামেলা হবে। আমি তোমাকে কুমিল্লা কোর্টের এক নেতার নাম্বার দিচ্ছি তুমি তার সংগে কথা বলে কুমিল্লা চলে যাও।’
 
পরদিন রোববার, আমার অফিসের গাড়ীটি নিয়ে সকাল সকালে ১১টায় কুমিল্লায় সেই উকিল এর সংগে দেখা করলাম। আইনি পরামর্শ নিলাম। সে বলল ‘ডিবি ওসি’ চাইলে আপনার গাড়ী আজই আপনাকে দিয়ে দিতে পারে- সেই ক্ষমতা তার আছে; তবে মনে হয় দেবে না। সেক্ষেত্রে কোর্ট থেকে গাড়ীর জামিন নিতে হবে। তবে, আপনি ভুলেও ড্রাইভারের পক্ষে কোন কথা বলবেন না। আপনি ডিবি পুলিশের ওসি সাহেবের সংগে দেখা করতে পারেন’
 
আমি তখনই ডিবি পুলিশ এর কার্যালয়ে গেলাম। গাড়ী নিয়ে ভেতরে চলে গেলাম। গাড়ী থেকে নামলাম। সরাসরি ওসি সাহেবের রুমে গেলাম। ওসি সাহেব নেই। সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। আমি আমার পরিচয় দিলাম। আমি জানি আমার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা ভাল।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল আমার এভাবে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে ঢুকাতে ডিবি পুলিশ কিছুটা বেশী সতর্ক বা হকচকিয়ে গেল।
আমি কারণটা বুঝতে পারলাম না।
 
সেকেন্ড অফিসার হাত মেলালেন। সবটা শুনলেন। এবং বললেন, দেখুন আমার কিছুই করার নেই। আপনাকে কোর্ট থেকে গাড়ীর জামিন নিতে হবে।
 
আমি ফিরে আসলাম।
 
উকিল এর সংগে আবার কথা বললাম। অনেক টাকা খরচ হবে। কোর্ট ও পুলিশ কে ঘুষ দিতে হবে। মাসখানেক সময়ও লেগে যাবে সব মিলিয়ে।
 
আমার ভাইকে ফোন করলাম। তিনি পরামর্শ দিলেন কোর্টে গিয়ে সরাসরি ‘জিআরও’র সংগে যেন কথা বলি। তাকে কিছু টাকা দিলে খুব তাড়াতাড়ি গাড়ীর জামিন দিয়ে দেবে।
 
কিন্তু সত্যি বলতে কি আমি থানা পুলিশ কোর্ট সম্পর্কে একেবারেই অনভিজ্ঞ; কিছুই জানি না চিনি না। কে জিআরও, কোথায় থাকে কিছুই বুঝি না। তাছাড়া তখন তত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায়; অনেকটা আর্মি শাসন চলছে। ডিবি পুলিশ কোন সহায়তা করলো না। সব মিলিয়ে কেমন যেন হযবরল অবস্থা। তাছাড়া আমি থাকি ঢাকা। কুমিল্লা এসে এসব করাও সম্ভব না। ব্যবসায়েরও ক্ষতি হচ্ছে। চিন্তা করলাম উকিলকেই দায়িত্ব দিই। আস্তে আস্তেই হোক।
 
ঢাকা ফিরে আসলাম।
ফোনে ফোনে কাজ সাড়ার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় হাজার চল্লিশেক টাকা খরচ হয়ে গেল। কোর্ট নাকি পুলিশ রিপোর্ট চেয়েছে, পুলিশকেই ২০ হাজার টাকা দিতে হবে যেন ওরা রিপোর্টে লিখে দেয় ‘গাড়ীটির মালিকের জিম্মায় জামিন দিলে তদন্ত কাজে কোন অসুবিধা হবে না’।
 
মাসখানেক পর আবার কুমিল্লা গেলাম।
গাড়ীর জামিনের কাগজ আমার হাতে। আবার সেই ডিবি পুলিশের ওসির সংগে দেখা করতে হবে। গেলাম ডিবি অফিসে। সেদিনও সেই সেকেন্ড অফিসার। তিনি আমাকে চিনতে পারলেন। তার হাতে আমার গাড়ীর জামিন এর কাগজ দিলাম। তিনি বললেন, ‘আপনি একটু বসুন। ওসি স্যার আসতেছেন- তার সিগ্নেচার লাগবে’।
আমি সেকেন্ড অফিসারকে বললাম, ‘সেদিন তো আপনি চাইলেই আমাকে গাড়ীটি দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু দিলেন না। শুধু শুধু আমার একটা মাস নষ্ট করালেন। ২০ হাজার টাকা নিলেন পুলিশ রিপোর্ট করতে; সরাসরি আমার কাছ থেকে নিলেই তো পারতেন। টাকা ঠিকই নিলেন কিন্তু উকিল এর মাধ্যমে!’
 
সেকেন্ড অফিসারের চেহারা মুহুর্তে লাল হয়ে গেল!
‘কি বললেন? ২০ হাজার টাকা নিয়েছি আমরা? সে তো আমাকে মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি এক্ষুন্নি ফোন দিচ্ছি ওই শালার উকিল কে।’
‘এখন আর উকিল কে ফোন দিয়ে কি হবে? কিন্তু আমাকে আপনি বলেন কেন সেদিন আমার কাছে ওরকম সাধু সাজলেন। বললেন, আপনার কিছুই করার নেই। কোর্টে যেতে হবে। আমি তো টাকাও দিতে চেয়েছিলাম, ফোন নাম্বারটা পর্যন্ত দেননি আমাকে।’
 
এবার সেকেন্ড অফিসার মুখ খুললেন। ‘দেখুন ভাই, আপনি সেদিন যেভাবে থানায় ঢুকেছেন আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সামরিক অফিসার ছাড়া কেউ এভাবে গাড়ী নিয়ে গেট পার হয়ে ডিবি অফিসের ভেতরে আসে না; সবাই গাড়ী গেটের বাইরে রেখে ভেতরে ঢুকে। তাছাড়া আপনার গেটআপ, কথার স্ট্যাইল ইত্যাদি দেখে আমরা একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। তাছাড়া কেয়ারটেকার আমল যাচ্ছে আমরা সারাক্ষন ভয়ের মধ্যে থাকি। আপনি যেভাবে চলা ফেরা করেন- এভাবে চললে যে-কোন ডিবি অফিসারই আপনাকে ভয় করবে।’
আমি হেসে দিলাম। বললাম, ‘আপনাদের ট্রেনিং দেয়া হয় না? কথা বললেই তো একজন মানুষ সম্পর্কে আপনাদের বুঝে ফেলা উচিৎ! তাছাড়া আপনারা তো ডিটেকটিভ পুলিশ। আমাকে ভয় পেলেন?’
 
একটু পর ডিবি ওসি আসলেন।
সেকেন্ড অফিসার আমার সংগে পরিচয় করিয়ে দিলেন। চা আসলো, খেলাম। ওসি সাহেব প্রয়োজনীয় প্রসেসিং করে দিলেন আমার গাড়ীটি আমার হাতে বুঝিয়ে দিতে। ‘চা খাওয়া’র জন্য আরো ২ হাজার টাকা দিলাম।
 
গাড়ীর চাবি আমার হাতে দিলেন ওসি সাহেব।
আমি ওসিকে বললাম, ‘আমার গাড়ী ফেসসিডিলসহ আটক হয়েছে। অথচ আমি আমার জীবনে এখনও ফেনসিডিল দেখিনি। আমাকে এক বোতল ফেনসিডিল দেখান।’
ওসি সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে হেসে দিলেন, ‘সত্যিই দেখেনি?’।
আমি বললাম, ‘না। সত্যিই দেখিনি। ফেনসিডিল কেমন সেটা আমার দেখা দরকার।’
 
ওসি সাহেব একজনকে ডাকলেন। বললেন আমাকে যেন আটককৃত ফেনসিডিল এর গুদামে নিয়ে যায়। আমি গেলাম ভেতরে। ওষুধের সিরাপ এর বোতল। জীবনে প্রথম ফেনসিডিল দর্শন। হাজার হাজার বোতল।
 
একটু পর পেছনে দেখলাম ওসি সাহেব হাসসেন। বললেন, ‘আপনার যতগুলি খুশী এখান থেকে নিয়ে যান। আমি আপনাকে আমার দায়িত্বে ঢাকায় পৌছে দেবো- কথা দিচ্ছি; কেউ আপনাকে রাস্তায় ফেনসিডিল এর জন্য আটকাবে না’।
 
আমি আমার গাড়ীটি নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসলাম।
 
আমার এই লেখাটার একটা উদ্দেশ্য আছে। ২০১৬ সালে তামিম চৌধুরীকে বিচার-বর্হিভূতভাবে হত্যা করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে নীচের নিউজটি দেখুন। 
 
“আজ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন তামিম চাপ্টার ক্লোজ। সফল অভিযানে তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ায় আরও তথ্য পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এরা জীবিত অবস্থায় তথ্য দিল কি না দিল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে তথ্য আছে। তারা কাজ করছে।”
 
আমি শুধু একটু বোঝার চেষ্টা করলাম বাংলাদেশের ডিটেকটিভ পুলিশ এর যোগ্যতা সম্পর্কে। দেশের গোয়েন্দা বাহিনী কতটা দক্ষ সেটা একটু দেখালাম। সামান্য আমাকে দেখেই যে গোয়েন্দা বাহিনীর হাত-পা কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়; গুলশানে সামান্য ৫জন জংগীকে হত্যা করতে যেদেশের পুলিশ রাবের প্রধানগণ প্রকাশ্য রাস্তায় ‘হিসু’ করে দেয়- সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে এই অসুস্থ অবস্থায় অনেকক্ষন হাসলাম আজ।
 
আমি আমার গাড়ীটি উদ্ধার করার পর মাজেদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিই এবং জানতে পারি সে এর আগেও বেশ কয়েকবার ফেনসিডিলসহ ধরা পরেছিল এবং জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত।

ঘটনার প্রায় ৮-৯ মাস পর ড্রাইভার মাজেদ জামিনে বের হয়ে আসে। আমি বিআরটিএতে ওর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের অনুরোধ করে একটি চিঠিও লিখেছিলাম। মাজেদ ছিল অবৈধ মাদক পাচার ও সরবরাহকারী।
 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *