বাংলাদেশী


মার্কিন জাতি হিসেবে আমাদের আবার দৃঢ়তা দেখাতে হবে। জাতি হিসেবে আমাদের বৈচিত্র্য মেনে নিতে হবে। সন্ত্রাসীরা যেন দেশকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
আমরা জানি বৈচিত্র্য আমাদের দুর্বলতা নয়, বরং ঐতিহ্য। এটা আমাদের শক্তির অন্যতম পরিচায়ক হিসেবে টিকে থাকবে।
মার্কিন নাগরিকেরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত, বর্ণ এবং ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে এসেছে।
 
কথাগুলি আমার না; আমি অতটা বড় মানুষ হতে পারলাম কৈ?
প্রেসিডেন্ট ওবামা গতকাল কথাগুলি বলেছেন।
 
এত এত কথার মুল কথাটা হলো তিনি বলেছেন অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় যদি আমরা বুঝি তাহলে সেটা হবে:
অনেক বর্ণ, গোত্র, ধর্ম, কালচার আর মতবাদের লোক হওয়া সত্বেও- সম্পূর্ণ আমেরিকার মানুষগুলিকে একত্রে থাকতে হবে; কোন বিভেদ সৃষ্টি করা চলবে না। একত্র না থাকলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, উন্নয়ন সম্ভব নয় এমনকি সম্ভব নয় সন্ত্রাস দমনও।
 
এরপর আর একথার কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না।
 
আমেরিকা মানুষদের দেশ। তারা তাদের মহান দেশকে কোন অবস্থাতেই দু’ভাগ করতে দিবে না, দিতে পারে না।
 
আর বাংলাদেশের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা, তার মন্ত্রীরা, পুলিশের শহিদুল বেনজির, মনিরুলসহ চেতনাবাজ ও প্রগতিশীল আর কথিত (দু)বুদ্ধিজীবিদের মুখে সারা দিনই শুনবেন, ‘স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি’ আর ‘স্বপক্ষ শক্তি’।
 
অর্থাৎ, সহজ ভাষায় এরা (চেতনাবাজরা) বাংলাদেশটাকে দুই ভাগে ভাগ করে দেশের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে!
আর তার পরিণামে দেশে আজ সন্ত্রাস, জংগীবাদ এর সৃষ্টি হয়েছে; মন্ত্রী-এমপি-আমলারা আর সংগে পুলিশ বাহিনী মিলে দেশে মাস্তান আর চোর-ডাকাতের রাজত্ব কায়েম করেছে।
 
কে না বুঝে যে একটা জাতিকে বিভক্ত করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আর চেতনাবাজরা মুলত দেশটাকে লুটে-পুটে খেয়ে ধ্বংস করে ফেলছে।
 
বিভক্তি কখনও শান্তি আনে না।
 
বৈধ পিস্তল আর গুলি হাতে পেয়ে দেশের আইন-আদালতকে তোয়াক্কা না করে শহিদুল-বেনজির-মনিরুল রা আজ প্রকাশে বিরোধী মতকে খুনের হুমকী দিচেছ, কে জংগী সেটা ওরা তিনজন মিলেই বলে দিচ্ছে, প্রতিদিন ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করে চলছে।
 
তাহলে দেশে অার আইন-আদালাত কোট-কাচারীর দরকার কি?
শহিদুল-বেনজির-মনিরুল রা-ই তো সব পারছে!
 
এই তিনটার জন্ম হয়েছিল কোথায় একটু ভাল-ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার!
 
একটি জাতিকে বিভক্ত করলে তো এমনটাই হবার কথা!
 
সেই সংগে এই আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশকে ভারতের অংগীভুত করার জন্য যা যা করার দরকার তার সবই করে দেশের সার্বভৌমত্বটুকু পর্যন্ত শেষ করে দিয়েছে।
 
আর, দেশের মানুষ এখনও ঘুমাচ্ছে।
 
একসময়ে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী এখন হাসিনার সামনে যেয়ে নপুংসক হয়ে পয়সা গুনছে!
 
বাংলাদেশে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে ‘শেখ মুজিবকে ভাল বাসতেই হবে’। না বাসলে ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং সারা জীবন জেল।
 
যারা এসব আইন তৈরী করে এবং সংগে যারা সমর্থন করে, তারা সত্যিই কোন মানুষের জন্ম হতে পারে না; হওয়া সম্ভব নয়।
 
জোর করে ভালবাসা?
তাও আবার শেখ মুজিবের জন্য?
যে কিনা একটা দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে নিজের পারিবারিক জমিদারী বানিয়ে, গণতন্ত্র হত্যা করে, মানুষের মুখ বন্ধ করে এবং কথায় কথায় মানুষ হত্যা করে দেশটাকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল- তাকে ভালবাসতে হবে!
 
হা হা হা হা।
এটাই বাকী ছিল!
 
আমি শেখ মুজিবকে ঘৃণা করি। শেখ মুজিব অত্যন্ত সুবিধাবাদী একজন নেতা। যে তার নিজের ব্যক্তিগত লাভের জন্য যা খুশী তাই করতে পারতো!
 
এবং তার এক মাত্র যোগ্যতা ছিল ‘চমৎকার ভাষন দিয়ে মানুষের বাহাবা কুড়ানো।
 
এর বাইরে আমি শেখ মুজিবের কোন গুন খুঁজে পাইনি।
 
শেখ মুজিব একজন প্রথম সাড়ির সুবিধাবাদী, চোর এবং সন্ত্রাসী নেতা ছিল।
শেখ মুজিবের মেয়ে হাসিনা ও তার ছেলে জয় বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট চোর।
আর তার গোপালি প্রশাসন এই পৃথিবীর সবচে দুনীতিগ্রস্থ।
 
অপর দিকে বাংলাদেশ পুলিশ এই পৃথিবীর সবচে ভয়ংকর সন্ত্রাসী সংগঠন।
 
আসুন আমরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, চেতনাবাজ ও শেখ হাসিনার প্রশাসনতথা পুলিশ বাহিনীর মুখে থুথু দিই।
 
আমরা যেহেতু অস্ত্র ব্যবহার করতে জানি না। এবং আমরা যেহেতু অহিংস আন্দোলন পছন্দ করি। সেহেতু আওয়ামী লীগের মুখে থুথু দেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন প্রতিবাদের ভাষা এই মুহুর্তে হাতে নেই।
 
শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত তার মুখে থুথু দিতে থাকুন।
 
এবং শেষটায় দেশটাকে কিভাবে ‘একত্র’ করা যায়, কিভাবে আমরা একমাত্র বাংলাদেশী-তে পরিণত হওয়া- যায় সেই চেষ্টা করি।
 
হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান বৌদ্ধ এবং অবাঙালী আদিবাসী সকলে মিলে ‘বাংলাদেশী’।
 
কেউ স্বাধীনতা বিরোধী নয় এদেশে।
 
দেশটা সবার এবং দায়িত্বও সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *