প্রশ্ন: গালি কারা দেয়?
উত্তর: যারা যুক্তিতে পেরে উঠে না তারাই গালি দেয়। আরও সহজভাবে বললে অযোগ্যরা গালি দেয়।
উদাহরণ: ওয়েট, ওয়েট। উদাহরণ একটু পরে দিচ্ছি। তার আগে বরং শানে-নজুল দেই।
অনেকেই জানেন যে আমার একটা ‘পেইজ’ রয়েছে নাম ‘ওয়েক-আপ বাংলাদেশ’। আমার কিছু কিছু আর্টিকেল আমি ঐ পেইজটাতেও পোষ্ট করি।
গেল বছর একটা ‘বিদ্রুপাত্মক’ আর্টিকেল লিখি যদিও ‘বাস্তবতায় ও যুক্তিতে তা ছিল অনবদ্য’।
আর্টিকেলটি দেখতে চাইলে নীচের লিংকে ক্লিক করতে পারেন:
https://www.facebook.com/wakeupbd/posts/1052055361549217
আর্টিকেলটাকে আমি মজা করে ‘বুষ্ট’ করি।
এতে বেশ কাজ হয়, প্রায় ৬৬ হাজার পাঠক লেখাটিতে লাইক দেয়।
কিন্তু মজার যে বিষয়টা সামনে চলে আসে তা হলো- সত্য বিষয়টাকে কিছু মানুষ গ্রহন করতে পারেনি। তারা বেঁকে বসে।
কিন্তু সমস্যা হলো তারা সত্যকে খন্ডাতে ব্যর্থ হয়ে আশ্রয় নেয় গালির। এবং ‘একই স্টাইল’ এর গালিতে এরা মেতে উঠে। যুক্তির বদলে এরা একটাই কমন গালি দিয়ে অভ্যস্থ।
লেখাটির কমেন্টে গেলে বিষয়টা পরিস্কার হবে।
যাই হোক, আমি বিষয়টাকে ইগনোর করি। পাত্তা দিই না।
তখনই মনে হলো এদের ‘গুরু’রাও তো গালি ছাড়া কিছুই জানে না। গালি এবং মাস্তানীতেই এদের ভরসা।
জাহাঙ্গীরনগর এর মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ভিসি ড. আনোয়ার যখন প্রকাশ্যে জনসমূখ্যে ‘গালি’ দিতে পারে- তাহলে তাদের আপাদমস্তক শিক্ষাই তো গালিময়। গালি ছাড়া এরা আর জানেই বা কি? দিবেই বা কি?
মনে পরে গেল যুক্তি না পেরে লন্ডন প্রবাসী তারেক সাহেবের কিছু যুক্তিযুক্ত কথার বিপরীতে তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুরা তো গালিতেই ভরসা করে।
হাসানুল হক ইনু বা ড. হাসান মাহমুদরাও তো শুধুই শরীরি-ভাষায় ও গালিতেই ভরসা রাখে।
ছাত্রলীগের ভরসাও সম্পূর্ণ চাপাতী, ধর্ষন এবং গালিতেই সীমাবদ্ধ।
সত্যি বলছি আমি বিএনপি বা জামাত শিবিরের কাউকে কোনদিন গালি উচ্চারণ করে কিছু বলতে শুনিনি। কখনওই না। এমনকি ভন্ড প্রেমিক এরশাদ সাহেবের ভাষাও কিন্তু বেশ মার্জিত।
আর তখনই আমার মাথায় চিন্তা আসে এরা গালিগুলি শিখলো কোত্থেকে?
এবং প্রায় তাৎক্ষনাতই উত্তরও পেয়ে গেলাম।
সজীব ওয়াজেদ জয় এর মুখের ভাষা, ‘বিএনপি মানুষের জাত না’।
হাসলাম, এই ছেলে নাকি পড়াশোনাও করেছে, তার বাবার নাকি পিএইচডিও ছিল!
একটু এগিয়ে গেলাম শেখ হাসিনার মুখের ভাষায়!
সত্যি বলছি বাংলাদেশে থাকতে আমার বাসার কাজের বুয়ার মুখের ভাষাও শেখ হাসিনার মুখের ভাষার চেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সভ্য ছিল।
আরও একটু যদি এগুই। তাহলে চলে আসেন সরাসরি শেখ মুজিব সাহেব। তিনি তো কাউকেই ‘তুই’ ছাড়া অন্য কিছু বলে সম্মোধনও করতেন না।
পারিবারিক ঐতিহ্য একটা বড় বিষয়।
শুনেছি শেখ মুজিবর রহমান মারা যাবার সময় তওবা বা কলেমা তো পরেনই নি, উল্টো তিনি নাকি অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে করতে মারা গেছেন। সেনা বাহিনী, রক্ষীবাহিনী, তার নিজস্ব লোকজন কেউ-ই তার গালি থেকে নাকি রক্ষা পায়নি তার মরার সময়।
হবেও হয়তো! বাস্তবতা তো তাই বলে।
যাই হোক, গালি নিয়ে একটা কথা বলি।
গৌতম বুদ্ধ সাহেব এর শিখিয়ে দেয়া একটা বুদ্ধি এটা।
কেউ যদি আপনাকে কিছু টাকা দেয়- বাট, সেই টাকাটা যদি আপনি না নেন তাহলে সেই টাকাগুলির মালিক কে হলো?
যার ছিল, সে-ই তো; নাকি?
তো, আমাকেও যদি কেউ গালি দেয়- আমি কিন্তু তা নিই না।
সুতরাং সেগুলি কিন্তু তারই থেকে গেল- সে নিজেই সেই প্রদত্ত গালিগুলির নির্ভেজাল মালিক।
শেখ হাসিনার নো-বেল নিয়ে সাম্প্রতিক আমার কিছু স্ট্যাটাসে অনেকেই আমাকে কিছু গালি বর্ষণ করেছিল, কিন্তু আমি তার সবই তাদেরকেই ফেরত দিয়েছি।
ওগুলির তারাই সঠিক মালিক।
এবার তাহলে শেষ করি।
উদাহরণ: আওয়ামী লীগ ও চেতনাজীবিরা।
আম্লীগ নিজেই একটা ভয়ংকর গালি।