সময় কোথায়- সময় নষ্ট করবার?


রোহিঙ্গাদের কৌশল করতে হবে, কৌশল জানতে হবে।
 
সুবিধাবঞ্চিত এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের পক্ষে এককভাবে যুদ্ধ করে মিয়ানমারের সামরিক-নিয়ন্ত্রিত সরকারকে পরাজিত করা অসম্ভব।
 
স্বাধীন রাখাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই একমাত্র রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে।
 
আর নইলে বাকী জীবনও পরে-পরে মাইর খেতে হবে। ধর্ষিত হতে হবে। নাফ নদীর পানিতে ডুবে মরতে হবে। অার যারাওবা জীবন বাঁচিয়ে বাংলাদেশে পৌছতে পারবে- সেখানে গিয়েও দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হতে হবে স্থানীয় মাস্তান ও ছাত্রলীগের হাতে।
 
কেউ কারো ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়ে যায় না।
নিজের, নিজেদের ভাগ্য নিজেকে, নিজেদেরই পরিবর্তন করে নিতে হয়।
 
রোহিঙ্গারা যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝবে এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে- তাতে ততই মঙ্গল তাদের।
 
আপাতত রোহিঙ্গাদের কথা থাক।
তারচে বরং বাংলাদেশের কথা বলি।
 
যেখানে বাংলাদেশ নিজেই স্বাধীনভাবে আজ কথা বলতে পারছে না, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রয়েছে, প্রতিবাদ করার বিনিময়ে গুম হয়ে যেতে হচ্ছে, খুন হতে হচ্ছে ক্রস ফায়ারে এবং জংগী ট্যাগে, আর নয়তো পুলিশের নির্যাতনে হতে হচ্ছে চিরদিনের জন্য পুংগ; সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ আজ কি-ই-বা করার সামর্থ্য রাখে?
 
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বাংলাদেশী মুসলিম, বাংলাদেশী হিন্দুদেরও এক নম্বর শত্রু। অবশ্য হিন্দুদের এটা বুঝতে আরেকটু বেশী সময় লাগবে। একজন খারাপ বা অশুভ ব্যক্তি কারোরই বন্ধু হতে পারে না, হয়ে উঠৈ না।
 
শুধুমাত্র নষ্ট সমাজের কিছু নষ্ট মানুষ, কিছু ধর্ষক, নীচু চরিত্রের কিছু লোভী ও চতুররা আজ শেখ হাসিনার সংগী। এবং তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নগদ টাকার পাহাড় গড়া।
 
শুধুমাত্র অবৈধ আর অনৈতিক আয়ের নগদ টাকাই যে সবকিছু না- এটা এই নষ্ট লোকগুলি বুঝতে পারবে একদিন ঠিকই কিন্তু ততদিনে অনেক বেশী দেরী হয়ে যাবে।
 
শুধুমাত্র অগাধ টাকা মানুষকে রক্ষা করতে পারে না।
মানুষকে রক্ষা করতে মনুষত্ব দরকার হয়- সেটা টাকায় উপার্যন সম্ভব না।
 
বাংলাদেশের মানুষ আজ কথা বলতে পারছে না।
যে জাতি স্বাধীনভাবে সামান্য কথাই বলতে পারে না- তারা নাকি আবার স্বাধীন দেশে বসবাস করে?
 
অথচ এই ভুখন্ডের মানুষ ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভেংগেছে বুজের তাজা রক্ত ঢেলে।
 
হ্যা, এই ভুখন্ডের মানুষরাই ১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে একটা দেশ জয় করেছে।
 
আর আজ সেই মানুষগুলিই ‘মুক ও বধির’ হয়ে রয়েছে- ৫৭ ধারাকে ভয় পাচ্ছে ১৬ কোটি মানুষ! এটা অবিশ্বাস্য!
 
আমি সুবিধাজনকভাবে এমন একটা ভুখন্ডে বসবাস করছি- যেখানে শেখ হাসিনা, তার পৌষ্য সন্ত্রাসী পুলিশ, ডিবি বা রাবের হাত পৌছবে না। শেখ হাসিনার বিচারকদের হাতও না। তার ৫৭ ধারাকে আমি কেয়ার করি না।
 
আমি স্বাধীন। আমি মুক্ত।
আমি যা সত্য বলে জানি- নির্দিধায় দেশের মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলে দিতে পারি। দিই।
 
কাউকে ভয় করি না।
শুধুই নিজের কাছে নিজে জবাবদিহি করি।
 
দেশে যখন বসবাস করতাম- তখনও যে চুপচাপ গুটিশুটি মেরে ঘরে বসে থাকতাম সেটাও কিন্তু না।
 
এনিওয়ে যেটা বলছিলাম, ৫৭ ধারা।
আমি একা নই। আমার মতো হাজারো সাহসী নারী-পুরুষ শুধুই বিবেকের তারণায় দেশের মাটিতে বসে এমনকি নিজের ছবিযুক্ত আইডি থেকে নিয়মিত ৫৭ ধারাকে তোয়াক্কা না করে অনবরত লিখে যাচ্ছে- তাঁদের আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।
 
কি করতে পেরেছে তাদের অবৈধ হাসিনার নষ্ট প্রশাসন?
কিছুই না। আমি তাদের সাহসের প্রশংসা করি।
 
আপনি ভয়ে গুটিয়ে রয়েছেন! সামান্য একটা লাইক, কমেন্ট করতেও আপনি ভয় করেন! নিজেকে ‘মানুষ’ পরিচয় দিতে লজ্জা করে না আপনার?
 
সকলে সাহস সঞ্চয় করুন। মাত্র ৫ লাখ পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয় ৫ কোটি প্রতিবাদী মানুষকে থামিয়ে দেয়া- যদি সকলে একযোগে গর্জে উঠে।
 
সেই উদাহরণ, সেই অভিজ্ঞতা, সেই সাহসতো আমরা আগেও দেখিয়েছি এই ভুখন্ডে বসেই। তাহলে আজ কেন মরার আগেই মরে রয়েছেন?
 
চুপ করে বসে থেকেই কি নিজেকে ক্রস-ফায়ার মুক্ত রাখতে পেরেছেন?
 
এখনও সময় আছে। গর্জে উঠুন।
কিসের ৫৭ ধারা!
তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিন ওসব ফিফটি সেভেন। গর্জে উঠুন।
 
আজই। এখনই।
ভীত নাড়িয়ে দিন খুনী হাসিনার অবৈধ রাজত্বের।
 
মনে রাখবেন, পুলিশ যে গুলিটি আপনার বুকে করছে সেটা অবৈধ। আর একটা অবৈধ গুলিকে ঠেকাতে আরও একটা অবৈধ লাথি আপনিও মারার অধিকার রাখেন।
 
আর যদি আজই গর্জে উঠতে না পারেন- এই হাসিনা, এই ইন্ডিয়া আপনাকে, আপনার বংশধরকে, আপনার ভবিষ্যতকে শেষ করে দিবে।
 
দু’দিন পর অনেক বেশী দেরী হয়ে যাবে।
 
আপনাকেও যে একদিন রোহিঙ্গাদের মতো করে অন্য কোন আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াতে হবে না- সে নিশ্চয়তা কে কবে দিল আপনাকে?
 
দেখতেই পাচ্ছেন যে- রোহিঙ্গারাও বড্ড বেশী দেরী করে ফেলেছিল!
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *