ভারতীয় ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও চায়নার রাজনীতি


ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর ২০১৯ সালের ৫ই আগষ্ট ভারত সরকার বিশেষ মর্যাদার রাজ্য ‘জম্মু ও কাশ্মির’কে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে ‘জম্মু ও কাশ্মির’ এবং ‘লাদাখ’ নামে দু’টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।


তারপর থেকে সুদীর্ঘকাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মিরে কারফিউ জারি করা হয়েছিল, সেখানে কার্যত এখনও সেনাশাসন চলছে। পাকিস্তান সরকার ভারতের এই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ জানায় এবং জাতিসংগে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পারমানবিক যুদ্ধেরও হুমকী দিতে দ্বিধাবোধ করেননি।


সেসব আমরা সকলেই খবরে দেখেছি।কিন্তু যে বিষয়টি সে সময় আমার কাছে সবচে আশ্চর্য লেগেছিল সেটা হলো, চীনের প্রতিবাদের ভাষা। ১৯৬২ সাল থেকেই কাশ্মিরের একটি অংশ চীনের দখলে ছিল বা আছে- সেটা তো আমরা জানি-ই। কিন্তু সেই ৫ই আগষ্টের পরপরই চীন এই বিভক্তি ও পুর্ণগঠনের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকে। আমি প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি, পরবর্তীতে একটু ঘাটাঘাটি করে বুঝি যে চীনের এই প্রতিবাদ শ্রেফ আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিবাদ ছিল না। চীনের দাবী ছিল ‘লাদাখ’ নিয়ে- লাদাখ’কে তারা অরুনাচল প্রদেশ এর মতোই নিজেদের অংশ বলে মনে করে।


চীন মুলত তখন থেকেই একটি ছক কষে কষে এগুতে থাকে। এবং আস্তে আস্তে তারা লাদাখ সীমান্তে সেনা শক্তি বাড়াতে থাকে, বেশ কিছু স্থায়ী অবকাঠামো নির্মান করে, নতুন নতুন রাস্তা তৈরী করে, এমনকি বিমানবন্দরও তৈরী করে যেখানে কিছু যুদ্ধ-বিমানও দেখা গেছে স্যাটেলাইটের ইমেজে।


এরপর চীন, আস্তে আস্তে ‘লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল’ (অমিমাংসীত LAC) বরাবর সৈন্য বাড়াতে থাকে। একটি বিষয় সকলেরই জানা দরকার, সেটা হচ্ছে ভারতের সংগে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তে প্রহরার কাজটি করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। কিন্তু চায়নার সংগে তাদের দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমানা পাহারা দেয় তাদের ন্যাশনাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা।


চায়না ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে যে তারা কোন পক্ষই সীমান্তে কোনপ্রকার অস্ত্র ব্যবহার করবে না, গোলা-গুলি করবে না। বিধায় আমরা কিছু ভিডিওতে দেখেছি যে বিভিন্ন সময়ে ডোকলাম বা লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনা ও চাইনিজ সেনারা বুক দিয়ে ঠেলাঠেলি করছে, কিন্তু কেউই অস্ত্র ব্যবহার করছে না। ওটাকেই তারা হাতাহাতি বলে।
এভাবেই চলছিল। কিন্তু চীনের সেই প্রতিবাদ যে স্রেফ লোক দেখানো আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিবাদ ছিল না- সেটা তারা আস্তে আস্তে বুঝিয়ে দিতে থাকে। ভারতীয়রা সাধারণত চাপার জোড়ে এবং গোয়ার্তুমী করে বেশ বড় বড় কথা বলতে অভ্যস্ত কিন্তু বাস্তবে তারা এক একটা বিড়াল বৈ কিছুই না।


বিগত কয়েক মাসে চীনা সৈন্যারা পুর্বের ‘এলএসি’ (যেখানে কোন সুনির্দিষ্ট দাগ আঁকা নেই বা সীমানা প্রাচীর নেই) ক্রস করে করে ভারতীয় সীমানার দিকে এগুতে শুরু করে। প্রতিদিন ই তারা একটু একটু করে এগুতে থাকে। আর যেহেতু সীমানাটাও অনেক দীর্ঘ সেহেতু ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আস্তে আস্তে তারা অগ্রসহ হয়েই চলছিল এবং এভাবে প্রায় ভারতের ৮-কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পরে। কোথাও কোথাও সেটা আরও অনেক বেশী জায়গা দখল করে ফেলে।


এটা ঘটছিল বিগত প্রায় কয়েক মাস ধরেই। তারা একটু একটু করে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে এবং নতুন করে নিজেদের তাবু স্থাপন করে। আর বিড়াল সেনারা (পড়ুন ভারতীয় সেনারা) মিঞু মিঞু করে আস্তে আস্তে পিছুতে থাকে।


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি যদিও খবর প্রকাশ করতে থাকে, কিন্তু ভারত সরকার চীনাদের অভিপ্রায় এবং সামর্থ বিবেচনায় এবং দেশে ভোটের রাজনীতি নষ্ট হবে আশংকায় তা গোপন রাখে। মধ্যিখানে বেশ কয়েকবার ভারতীয় কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তুললেও ভারতের সন্ত্রাসী মোদী সরকার চুপচাপ থাকার নীতি পালন করে।


কিন্তু, কাকের মতো চোখ বন্ধ রাখলে কি আর প্রলয় বন্ধ থাকে?না থাকে না। এক্ষেত্রেও থাকেনি। চীনা সেনারা যখন গোলওয়ান ভ্যালীর অনেকটা ভেতরে ঢুকে পরে তখন একরাতে ভারতীয় এক কর্ণেল (যিনি কম্যান্ডিং অফিসারও বটে) চীনা সেনাদের তাবু উচ্ছেদ করার অভিপ্রায়ে সামনে এগুতে থাকে। মুলত তখনই চীনা সেনারা আগে থেকেই উদ্দেশ্য-প্রনোদিতভাবে প্রস্তুত থেকে ‘তাবুতে আগুন দেবার কথিত অভিযোগ এনে’ অতর্কীতে তাড় পেছানো লাঠি, পাহাড়ী পাথর ইত্যাদি নিয়ে ভারতীয় সেনাদের উপর ঝাপিয়ে পরে। প্রথমেই তারা কুপোকাত করে ভারতীয় কমান্ডিং অফিসার কর্ণেল সন্তোষ বাবুকে।


আসলে একজন কমান্ডিং অফিসার একটি সেনা-টিমের প্রধান ব্যক্তি বা মধ্যমনি। তাকে ঘিরেই পরিচালিত হয় একটি বড় টিম। সেই কমান্ডিং অফিসারকেই প্রথমে হত্যা করে চীনা সেনারা। এবং সেই সংগে আগে থেকেই পাহাড়ের উপরের দিকে অবস্থান নেয়া সৈন্যরা ঝাপিয়ে পরে ভারতীয় সেনাদের উপর। প্রায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ ভারতীয় সেনা হতাহত হয় এবং কিছু সেনা চীনারা আটক করে বলে দাবী করে। ৫-জন চীনা সেনা নিহত এবং ২০ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা যায়।


যাই হোক, চীন এবার মনে হয় না লাদাখ ছেড়ে চলে যাবার জন্য ভারতীয় ভূমিতে ঢুকেছে। আসলে, চীন খুবই গোছালো একটি দেশ- অন্তত পক্ষে বিগত ৩ দশক যাবৎ। এবং চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট চায়নাতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন নেতা, যাকে মাওসেতুং এরপর সবচে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসাবে ধরা হয়।


চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শি জেনপিং ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশটি নিয়ে তার কিছু উচ্চাকাংখী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। তারমধ্যে কিছু কিছু কাজ তিনি এগিয়ে নিচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। যেমন, হংকং এ গণতন্ত্র সীমিত করা এবং চীনের প্রভাব বাড়ানো। বৃটেনের থেকে হংকং ফেরত নেবার সময় চায়নার একটি অংগীকার ছিল মিনিমাম ৫০-বছর হংকং যেভাবে চলছে ঠিক সেভাবেই হংকংকে চলতে দেয়া হবে- চীনের ভাষায় যেটাকে বলে ‘এক দেশ দুই নীতি’। মুল চায়না একদলীয় কমিউনিষ্ট হলেও হংকং এ পূর্ণ গণতন্ত্র বিদ্যমান।


প্রেসিডেন্ট শি জেনপিং তার কিছু কার্যক্রম দিয়ে এটাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে হয়তোবা তিনি শিগগিরই তাইওয়ান’কে দখলে নিতে কোন অভিযান হয়তো পরিচালনা করবেন। তার সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম সেদিকেই ইংগিত করে।


অতিসম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট তার দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য যে প্রস্তুতি গ্রহনের কথা বলেছেন, সেটা কিন্তু ভারতকে বিবেচনায় নিয়ে নয়, বুঝতে হবে সেটা ছিল আসলে তাইওয়ানকে নিয়ে। ভারতীয় সামান্য কিছু মাটির চেয়ে পুরো তাইওয়ান দেশটা খুবই লোভনীয় একটি ভূখন্ড।


আর ভারত যেভাবে তাদের উপর চায়নার আগ্রাসনকে বর্তমানে তাদের জাতীয় সমস্যা হিসাবে নিয়ে বিচলিত, আপনি যদি চাইনিজ নিউজপেপারগুলো দেখেন- তাহলে বুঝতে পারবেন ‘ভারত’ চায়নার কাছে কোন সমস্যার মধ্যেই পরে না। চাইনিজ নিউজপেপারগুলোতে ভারত সম্পর্কিত খবরাখবরগুলো নীচের দিকে খুব ছোট করে এক কলামে তার দায়-ছাড়াভাবে প্রকাশ করে।


চাীন বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অনেকেই যদিও চায়নাকে ভবিষ্যতের সুপারপাওয়ার হিসাবে মনে করে- বাস্তবে সেটা একেবারেই ভুল চিন্তা। আসলে লক্ষ্য করে দেখবেন তারাই চীনকে সুপারপাওয়ার হিসাবে বিবেচনায় নেয় যারা মনে করে ভারতও একটি সুপারপাওয়ার। দু’টোই আসলে চরম ভুল চিন্তা এবং যুক্তিহীন ভ্রান্ত ধারণা।


প্রথমত, চীনের জনসংখ্যা ১৫০ কোটি প্রায়। চীনে খুব সস্তায় (বাংলাদেশের মতো) জনশক্তি পাওয়া যায় বিধায় যে কোন প্রডাক্ট তারা খুব অল্প খরচে তৈরী করতে পারে, যেমনটা বাংলাদেশ তৈরী করে রেডীমেড গার্মেন্টস আইটেম। তারা সস্তায় সারা বিশ্বের সাপ্লাই দিতে পারে বিধায় এবং তাদের দেশে কঠিন রাজনৈতিক অনুশাসন বিদ্যমান বিধায় তারা সময়মতো, এবং নির্দেশ মতো কাচামাল ব্যবহার করে যে-কোন প্রডাক্ট তৈরী করতে পারে এবং তা বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারে।


যেহেতু এতো বিশাল এবং সস্তা জনশক্তি এবং স্ট্যাবল রাজনৈতিক পরিবেশ বিশ্বের আর কোথাও নেই- সেহেতু তারা তাদের কাজে শতভাগ সফলতা দেখাতে পেরেছে বিধায় সারা বিশ্বকেই তাদের বাজারে পরিণত করতে পেরেছে।


শুধুমাত্র আমেরিকার কাছে গত বছর চায়না প্রায় ৫৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রডাক্ট এক্সপোর্ট করেছে। আসলে আমেরিকায় সাধারণ পণ্য তৈরী হয় না; আমেরিকা বলতে গেলে প্রায় সবকিছুই আমদানী করে। তার মধ্যে সবচে বেশী আমদানী করে স্বভাবতই চীন থেকে। একটু ভাবুন তো, আমেরিকা যদি ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ বা ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোতে বিনিয়োগ-উৎসাহ দিয়ে তাদের থেকে মালামাল আমদানী শুরু করে- তখন কিন্তু চীন তাদের একচেটিয়া বাজার হারাবে। আমি বলতে পারি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে চীন তাদের বর্তমান বাজার হারাতে শুরু করবে।
তারপর? চীন কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক এই বাহাদুরী চিরকাল বজায় রাখতে পারবে না। মজার বিষয় হলো, ছোট-খাটো প্রডাক্টের উপর সারা বিশ্ব চীনের প্রডাক্টের উপর নির্ভরশীল থাকলেও মেধাভিত্তিক প্রডাক্ট কিন্তু চীন তৈরী করার সামর্থ রাখে না। তাছাড়া বিশ্বের কোন দেশ কিন্তু চীনের তৈরী উড়োজাহাজ বা স্যাটেলাইট কিনবে না। আইফোনসহ আমেরিকান কমপিউটার প্রস্তুতকারী কোম্পানীগুলো যদি চায়নাকে বাদ দিয়ে অন্য দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল হওয়া শুরু করে- তখন কিন্তু চায়নার অর্থনীতিতে বড় আকারের ধ্বস নামতে বাধ্য।


ঠিক এই কারণে, চায়নাও এখন শুধুমাত্র প্রোডাক্ট বিক্রির একমাত্র রাস্তা থেকে বের হয়ে বুহুমুখী আয়ের দিকে ধাবিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে, কোথাও সমুদ্র বন্দর তৈরী করছে, কোথাও বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে। তবে, এভাবে আর যাই-ই হোক, সুপার পাওয়া হওয়া সম্ভব নয়।
চীন সেটা বেশ ভালো করেই জানে। এবং চীন আরও জানে যে, বর্তমান সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের আমেরিকা বাইরের বিশ্ব নিয়ে খুব কমই মাথা ঘামাবেন। এমতাবস্থায় চীন তাদের হাতের কাছের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে কব্জায় নিয়ে রাখতে মরিয়া।


১৯৬২ সালে চীন ভারতের অরুনাচল প্রদেশ দখল করে নিয়েছিল যদিও পরে স্বেচ্ছায় তা আবার ভারতকে ফেরত দেয়; কিন্তু তারপরও এখনও অবধি চীন অরুনাচল প্রদেশকে দক্ষিন টিবেট হিসাবে গণ্য করে থাকে। চীন তেমনি লাদাখকেও তাদের অঞ্চল হিসাবেই বিশ্বাস করে। আর ভারতের কোন সামর্থ বা শক্তিই নেই যে চীনকে থামাবে।


আর এসব কারণেই চীন ভারতের দিকে হাত বাড়িয়েছে, তাইওয়ানের দিকেও হাত বাড়ালে আমি অবাক হবো না। এখন তাদের হাতে ক্ষমতা আছে, অর্থ আছে। এবং অনুকুল পরিবেশও আছে। ভারতকে সাহায্য করতে এই মুহূর্তে কেউ এগিয়ে আসবে না, তাইওয়ানকেও কেই এসে সাহায্য করবে না। আর সুযোগও সবসময় হাতে আসে না। আর সুযোগ, ক্ষমতা, সামর্থ, অনুকুল পরিবেশ এবং সংগে একজন দুরদর্শী সাহসী নেতাও চীনের রয়েছে।


চীন কখনওই রাশিয়া বা আমেরিকার মতো সুপারপাওয়া হবার চিন্তা করবে না, সেটা চিন্তা করার মতো যথেষ্ঠ ‘রসদ’ চীনের নেই এবং হবেও না- সেটা চীন নিজেও বেশ ভালোই বুঝে কিন্তু তাদের নিজেদের পায়ের কাছের অংশগুলোতে পরিপুর্ণ দখলদারিত্ব ধরে রাখতে মরিয়া, রাখবেও যে-কোন মূল্যে। চীন বেশ ভালোই জানে বুদ্ধিবিত্তিক প্রডাক্ট ছাড়া বর্তমান বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া যাবে না। কাজেই তারা তাদের সামর্থের মধ্যে সর্বোচ্চটুকু করে দেখাবে বা করবেই।


চীন বড় আকারের কোন কিছু করবে না এটা নিশ্চিত থাকা যেতে পারে, কিন্তু তার আশে-পাশের অশান্ত অঞ্চলগুলিকে নিজেদের করোতলে নিয়ে স্থায়ীভাবে শান্ত করে ফেলতে দ্বিধা করবে না; অন্ততপক্ষে প্রেসিডেন্ট শি জেনপিং যদ্দিন ক্ষমতায় থাকবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *