এমন যদি হতো-
আমাকে নতুন করে আবারো জন্মানোর সুযোগ করে দেয়া হলো!
অথবা নতুন কোন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়ে-
আমাকে রচনা লিখতে দেয়া হলো, ‘এইম ইন লাইফ’!
(পুরো ১০-দশটি নাম্বারই দেয়া হবে তাতে, যদি লিখতে পারি ঠিকঠাক।)
নাহ। এবার কিন্তু আর মানুষ হয়ে নয়;
কারণ, মানুষ হবার সব আগ্রহই যে আমার শেষ!
এবার জন্ম নিয়ে আসবো একটা আস্ত ‘ব্লাক হোল’ হয়ে।
তারপর, একটা একটা করে
তাজা গিলে খাবো ছোট-বড় সব সাইজের নক্ষত্র।
বাদ যাবে না তোমাদের সূর্য্যও।
ধরো, ১ মিলিয়ন নক্ষত্র তো খাবোই খাবো
সংগে ১ বিলিয়ন গ্রহ; হোক সেটা দানবীয় গ্যাসীয় বা পাথুরে।
কিচ্ছু যায় আসে না তাতে আমার।
ধরো গিয়ে, হৃষ্টপুষ্ট দেখে বাছাই করা আরও এক বিলিয়ন উপগ্রহ।
তোমাদের চাঁদ মামাও কিন্তু ঠিকই চলে যাবে আমার পেটে।
বাদ যাবে না টাইটান কিংম্বা ইউরোপা, গ্যানিমিড বা ক্যালিস্টোও।
গ্রহানু, ধেয়ে আসা সব ধুমকেতু, হ্যালীরটা সহ
(না হয় অপেক্ষা করবো আরও ৭৫ বছর)!
মিল্কীওয়ের এবার একটা হাল করে ছেড়ে দিবো।
বলে রাখলাম। আগ্রাসী এই আমি।
এবং শেষটায়, খাবো তোমাকেও!
কিছুতেই মুক্তি নেই তোমার; অন্তত আমার হাত থেকে।
যদি আমি জন্মি কখনও, নতুন করেও।
পুরো পৃথিবী তন্নতন্ন করে ঠিকই খুঁজে বের করবো তোমাকে।
একটি মাঝারী সাইজের ব্লাক হোল হয়ে ফিরে আসবো আমি।
জেনে রাখো, সত্যিই নিস্তার নেই তোমার কোন কালেও।