নৈতিক মনোবল


আপনার নৈতিক মনোবল যদি দুর্বল হয় তাহলে আপনি ক্ষমতার দম্ভে হয়তো অনেক কিছুই করে ফেলতে পারবেন কিন্তু যখন আপনার হাতে প্রকৃত নেতৃত্ব দেবার দায়িত্ব এসে পরবে- তখন আপনি অসুস্থ মুরগীর মতো ঝিমুতে থাকবেন- কারণ আপনার নৈতিক মনোবল শূণ্য।
 
বলছিলাম প্রধান বিচারপতি সিনহা বাবুর কথা।
 
তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ এর নামে সরকার বিরোধী মতামতকে হত্যা করে অবৈধভাবে চিরকাল ক্ষমতায় থাকার মিথ্যা মোহতে পরে শেখ হাচিনার দরকার ছিল একজন অনুগত প্রধান বিচারপতি- যার কাধে বন্ধুক রেখে একের পর এক হত্যা করা হয়েছে দেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের, জাতীয়তাবাদী কন্ঠস্বরগুলোকে।
 
আমরা চোখের সামনে দেখেছি এই প্রধান বিচারপতিবাবুকে বলতে “ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স”, “আপনি তিনটাকে ঝুলিয়ে দেন। এই ধরেন সাকা, সাঈদী আর মুজাহিদ। তারপর আমরা আপনাকে এ্যাপিলেট ডিভিশনে নিয়ে আসি।”- সেই নীতিহীন লোকটির কাছে, যে লোকটি নিঃসন্দেহে একজন ঘৃর্ণিত ব্যক্তি- তার কাছ থেকে ‘দৃঢ় মনোবল’ আশা করেন?
 
আমি কিন্তু এক মুহুর্তের জন্য তা আশা করিনি এবং বার বার আমি আমার স্ট্যাটাসে তা বলে গেছি এবং এবিষয়ে আমার কয়েকটি পোষ্ট ভাইরাল হতেও দেখেছি।
 
সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যক্তিগত চরিত্র কলংকযুক্ত। তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ রয়েছে, তার বিচারপতি হওয়া বা প্রধান বিচারপতি হওয়াটাও ছিল অযোগ্যকে জোর করে বাস্তবায়ন করা। সবই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাচিনার ব্যক্তিগত চয়েজে- রাষ্ট্রের সংগে নষ্টামী করে।
 
বটতলার উকিল সুরেন্দ্র বাবু ইন্ডিয়ান সন্ত্রাসী মৌলবাদী নরেন্দ্র মোদী ও তার দেশীয় দোসর হাচিনার সহানুভূতি না পেলে- কোন যোগ্যতাতেই দেশের ‘বিচারপতি’র মতো একটা পদে অভিসিক্ত হতে পারতেন না; সেই যোগ্যতা সিনহা বাবুর ছিল না।
 
বাংলাদেশী মানুষ আজ ডান গালে থাপ্পর খাবার পর পরশু যদি দু’টাকা নগদ হাতে পায় তাহলে সেই থাপ্পরের কথা ভুলে যায় মুহুর্তেই। দেশীয় জাতীয়তাবাদীরা ঐ নৈতিক মনোবলহীন সিনহা বাবুর ‘সাময়িক উত্তেজনা’য় বেশ প্রফুল্ল বোধ করছিল- তারা ভেবেছিলেন এই বুঝি ক্ষমতা তাদের হাতে চলে আসলো!
 
এত্তো সোজা না ক্ষমতা!
 
সিনহা বাবুর নৈতিক মনোবল যদি থাকতো- তাহলে তিনি ‘মৃত্যুকে বরণ’ করে হলেও মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে থাকতেন- পরোয়া করতেন না হাচিনাকে, তার পৌষ্য সন্ত্রাসী আকবরের সেনাবাহিনীর চাপকেও।
 
সিনহা বাবুর নৈতিক মনোবল যদি থাকতোই- তাহলে তিনি অনায়াসেই জোর পূর্বক স্বাক্ষর করার বিষয়টা সংবাদ মাধ্যমে ফাঁস করে দিতেন।
 
সিনহা বাবুর নৈতিক মনোবল যদি সামান্যতমও থাকতো- তাহলে তিনি ‘নিজের নৈতিক জীবন’ রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের সাহায্য চাইতে পারতেন।
 
সিনহা বাবুর নৈতিক মনোবল যদি থাকতোই- প্রকাশ্য আদালতে তিনি এই সরকারকে বরখাস্ত করতে পারতেন সুপ্রিমকোর্টকে অসম্মান করার অপরাধে।
 
না, সিনহা বাবুর সেই নৈতিক মনোবল ছিল না, নেই, হবেও না কোনদিন।
 
মনোবলে বিন্দুমাত্র নৈতিকতা থাকলে সিনহা বাবু হাচিনার বেয়াই মন্ত্রী রাজাকার মোশারফকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতেন- সেটা করার ক্ষমতা নিয়ে সিনহা বাবুরা জন্মাননি।
 
সিনহা বাবুদের হাতেতো রক্তাক্ত কলম ছিল যা কাজ করেছে বন্দুকের গুলি মতো।
 
সিনহা বাবুদের কাছ থেকে যারা ‘নৈতিক’ কিছু আশা করে- তারা তো বসবাস করছে বোকাদের স্বর্গে, মহা-মূর্খদের স্বর্গে!
 
 
 
কারণ সিনহা বাবুদের যে অনেক আগেই ‘খাসি’ করে রাখা ছিল।
 
সিনহা বাবুরাতো এই বাংলাদেশে চিরকাল উচ্চারিত হবে ‘দেশের বিচার বিভাগকে ধ্বংশ করার নীল-নকশাকরী হাচিনার দোসর’ হিসাবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *