তুলনায় পাকিস্তান!


বাংলাদেশের ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের সবচে পছন্দের ড্রেস কিন্তু ইন্ডিয়ান জামা নয়- এই তথ্যটা কি আপনি জানেন।
 
পাকিস্তানী ‘লন’-ই মেয়েদের পছন্দের তালিকার প্রথমে রয়েছে।
লনগুলি অত্যন্ত সফট, পড়তে আরামদায়ক এবং দামেও যথেষ্ঠ সহনীয়। সংগে রয়েছে দুর্দান্ত সব নজরকাড়া ডিজাইন।
 
বাংলাদেশের মার্কেটে যেহেতু আমার মেয়েদের পোষাকের ইমপোর্ট ও হোলসেল বিজনেসও ছিল সেহেতু নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি ভারতীয় শাড়ীর কোন প্রতিদ্বন্দী না থাকলেও পাকিস্তানী লন এর কাছে কোন ভারতীয় ড্রেস-ই দাঁড়াতে পারে না।
 
গাউছিয়া সংলগ্ন ইষ্টার্ণ মল্লিকা বহুতল শপিং সেন্টারটিতে হাজার হাজার কোটি টাকার ‘লন’ ব্যবসা দেখলেই আমার কথাটির বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
 
বাংলাদেশ বর্তমানে ‘টাওয়াল’ রপ্তানী করে অন্যান্য গার্মেন্টস সামগ্রীর মতোই প্রচুর পরিমানে ফরেন রেমিটেন্স পাচ্ছে। আপনি কি জানেন এই যে টাওয়ালগুলি তৈরী হচ্ছে- সেটি কোন মেশিন দিয়ে?
 
ওয়াহিদ টাওয়াল মেকিং মেশিন এই পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির মেশিন যা বাংলাদেশের সবচে বেশী আমদানীকৃত মেশিনের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। এখনও প্রতিদিন অসংখ্য মেশিন আসছে পাকিস্তান থেকে, ইভেন কমমূল্যে সেকেন্ডহ্যান্ড ওয়াহিদ ব্রান্ডে টাওয়াল মেকিং মেশিনও ইমপোর্ট হচ্ছে পাকিস্তান থেকে এই বাংলাদেশে।
 
পাকিস্তানী ফ্যানসহ আরও অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারিং প্রডাক্ট বিশ্বমানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে বহুবছর। শেয়ালকোট শহরটি সারা পৃথিবীতে প্রসিদ্ধ স্পোর্টস সামগ্রী তৈরীর শহর হিসাবে।
 
আজ উত্তর কোরিয়া পারমানবিক অস্রধর রাষ্ট্র, কথায় কথায় আমেরিকাকে পর্যন্ত হুমকী দেয়। এই উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্র প্রযুক্তিটিও পাকিস্তান থেকেই রপ্তানী করা।
 
১৯৭১ সাল পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ’ যতদিন পাকিস্তান ছিল ততদিন পর্যন্ত ভারত ফারাক্কা ব্যারেজটি (১৯৬১ সালে কার্যক্রম শুরু করে এবং তৈরী হয়ে যাওয়া সত্বেও) চালু করার সাহস দেখায়নি- কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাবার পর ১৯৭২ সালেই ভারত তাদের সেই মরণ-বাঁধটি চালু করার মাধ্যমে সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে পানিতে মারার কার্যক্রম হাতে নেয় এবং এখনও অবধি সেই বাঁধটি দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত চাবুক মেরে যাচ্ছে বিনা প্রতিবন্ধকতায়।
 
পাকিস্তানে বেশ কয়েকবার সামরিক শাসন হওয়া সত্বেও সেখানকার গণতান্ত্রিক ইন্সটিউশনগুলি অত্যন্ত মজবুদ। পাকিস্তানে নির্বাচনের নামে কোন প্রহসন হয়েছে কোনদিন- শোনা যায় না। মানুষ অন্তত স্বাধীনভাবে বিনা বাধায় নির্বাচেন ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করতে পারে এমনকি ক্ষমতাসীন দলের অধিনে নির্বাচনেও কারচুপি হয় না বললেই চলে।
 
পাকিস্তানি প্রশাসন মোটেও বাংলাদেশ, ভারত বা মালয়েশিয়ার মতো করাপ্টেড নয়। সেখানকার পরীক্ষায় নকল হয় না। প্রশাসনে এখনও ঘুষ চালু হয়নি। বিসিএস টাকায় বিক্রি হয়না। পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যা করে না। কেউ গুম হয়েছে বা কোন পুলিশ কারো চোখ তুলে নেয় না। কোন পুলিশ অফিসার সাধারণ মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে জংগী ট্যাগ দিয়ে ক্রস ফায়ারে হত্যা করে না। পাকিস্তানীরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে। সেখানে ৫৭ ধারা নেই, বিশেষ ক্ষমতা অাইন নেই।
 
পাকিস্তানে কোন চেতনাও নেই।
জাতির জনক কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমালোচনা করলে গ্রেফতার করা হয় না; যদিও মুহাম্মদ (সা) এর নোংড়া সমালোচনা করলে ব্লাশফেমী আইন রয়েছে এবং তার কার্যকারীতা রয়েছে।
 
আমি বলছি না যে পাকিস্তান কোন উন্নত বা অতি সভ্য দেশ।
সেখানেও ধর্ষন হয়, সেখানে দুর্নীতি রয়েছে। দেশটি পারমানবিক ক্ষমতাধর এবং অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এর মতো বিশ্বের সবচে নামকরা অভিজাত গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্বেও দেশটি দারিদ্রসীমার নীচেই অবস্থান করছে।
 
তারপরও পাকিস্তানের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়েও বেশ বড়। ১৯ কোটিরও বেশী মানুষের দেশ পাকিস্তানের গ্রস ন্যাশনাল ইনকাম যেখানে ১.০৭৯ ট্রিলিয়ন পিপিপি ডলার (২০১৬) সেখানে বাংলাদেশের গ্রস ন্যাশনাল ইনকাম দেখা যাচ্ছে মাত্র ৬১৭.১ বিলিয়ন পিপিপি ডলার (২০১৬)।
 
পাকিস্তানতো শুনতাম পূর্ব পাকিস্তান থেকে সবকিছু নিয়ে যেত! তো, গত ৪৫ বছরে তো আর কিছু নিতে পারেনি- এখনও কি বাংলাদেশেরটা বসে বসে খাচ্ছে না কি ওরা?
 
সার্বিক বিবেচনায় দেশটি বাংলাদেশের চেয়েও অনেক বেশী বাসযোগ্য, মানুষগুলি পরিশ্রমী। সেদেশে অন্তত নির্দিধায় ধর্মচর্চা করা যায়। পাকিস্তানী সুপ্রিম কোর্টের সামনে কোন দেবী মুর্তি স্থাপন করা হয়নি।
 
ইসলামাবাদের মতো চমৎকার পরিচ্ছন্ন ও গোছালো শহর এশিয়ায় খুব কমই রয়েছে।
 
পাকিস্তানী পুরুষরা বাংলাদেশীদের মতো নপুংসকও নয়।
তারা তাদের প্রেসিডেন্টকে নপুংসক বানিয়ে রাখেনি। তাদের দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে তারই মনোনীতি প্রেসিডেন্ট এই পর্যন্ত ৪/৫ বার ক্ষমতাচুত্য করেছে। প্রতাপশালী সামরিক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফকে পর্যন্ত সেদেশের সুপ্রিমকোর্ট কুপোকাৎ করতে এতটুকু ভয় পায়নি।
 
আর আপনারা সকলেই তো দেখলেন এই সেদিনই তাদের দেশের প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত প্রদানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে বরখাস্ত করে দিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী বিনা বাক্য ব্যয়ে দেশের সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। কেউ একটা টু শব্দও করেনি সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে।
 
এটাই সভ্যতা।
অবশ্য তারা তাদের ‘গোলাম’-দের বেতন দিয়ে প্রধান বিচারপতি বানান না। যোগ্যতা দিয়ে প্রধান বিচারপতি হতে হয় সে দেশে এখনও।
 
আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশের সে সময়কাল পর্যন্ত একমাত্র ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আইয়ুব খান কয়েক বছর পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আপনি কি জানেন আজ যে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনটি, জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, বাংলাদেশের রোড ইনফ্রাসট্রাকচারাল ডেভেলামমেন্ট- তার সবই ছিল আয়য়ুব খান সাহেবের প্লান অনুযায়ী এবং তার হাত ধরেই এসবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।
 
বেশী না একটু কষ্ট করে ফার্মগেট এর ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতলটি একটু ঘুরে আসুন- উদ্বোধনী নামফলকটি একটু দেখে আসুন গিয়ে- ওই ভদ্রলোকের নামটি এখনও চকচক করছে সেখানে। এটাই বাংলাদেশের সবচে কম খরচের ও উন্নতমানের চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশীদের।
 
শেখ মুজিবর রহমান যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েই যেতেন- তার দ্বারা পাকিস্তান কি সেবা পেত- বলতে পারেন? ভেবে দেখেছেন কি একটিবারও? শেখ মুজিবর রহমানের দল আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। কিভাবে তিনি নিজেকে জাতীয় নেতা ভাবার স্পর্ধা দেখাবেন?
 
শেখ মুজিব নিজের দেশকেই জাহান্নাম বানিয়ে দিয়ে গেছেন অপরদিকে আইয়ুব খান বাংলাদেশের সবচে বেশী উন্নয়ন দিয়ে গেছেন।
 
যাক সেব কথা।
পাকিস্তানকে আমরা বিদেয় করে দিয়েছি সেই ১৯৭১ সালেই। ওদের আর এই ১৫০০ কিলোমিটার দূর দেশে ফিরে আসার কোনই সম্ভবনা, সক্ষমতা বা গ্রহনযোগ্যতা কিছুই অবশিষ্ট নেই।
 
যারা এখনও বিরোধীদের বলে বেড়ায় ‘পাকিস্তানী চর’ তারা হয় অশিক্ষত মূর্খ, ভূগোল বা বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কোন জ্ঞান নেই অথবা জ্ঞানপাী ও নষ্ট চরিত্রের মানুষ। কারণ কোনভাবেই পাকিস্তানের সংগে বাংলাদেশের মিলন অবাস্তব চিন্তা এবং এতটা বোকা কোন মানুষ বাংলাদেশ ভুখন্ডে জন্ম নিয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা’র কোন ঝুঁকি পাকিস্তানের কাছে নেই- পাকিস্তানীরাও ততটা গাধা নয় যে তাদেরও সময় রয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবনার।
 
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের কাছে সবসময়ই হুমকীর মুখে। ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল করে চলে। সীমান্তে কথায় কথায় পাখির মতো বাংলাদেশী হত্যা করে। বানিজ্যের নামে বাংলাদেশটাকে তার গত ৮ বছরে তাদের একটা অলিখিত রাজ্যে পরিণত করে ছেড়েছে। এমনকি বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের প্রশাসন সবই দিল্লীর সাউথ ব্লক এর নির্দেশনায় চলে।
 
বাংলাদেশ এখনও আর স্বাধীন রাষ্ট্র নয়। এটাকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে না- বলে করদ রাষ্ট্র।
 
ভারতীয় দখল-দারিত্ব আরও পাকা-পোক্ত করতেই আজ ভারতীয় চিহ্নিত দালালরা ভারতীয় প্রেসক্রিপশনেই বাংলাদেশের ‘চেতনা-বাণিজ্য’ চালিয়ে যাচ্ছে।
 
ভারতীয় নকশায় আজ বাংলাদেশের প্রশাসনিক নষ্টামী, গুম, খুন, নৃশংসতা, চাঁদাবাজী এবং সবশেষে দেশের বিচার বিভাগকেও ধ্বংশ করে দেয়া হয়েছে।
 
সেদিন শেখ হাসিনা বললেন প্রধান বিচারপতি নাকি ‘বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সংগে তুলনা’ করেছেন।
 
আমি খুঁজে পেলাম অন্য কিছু।
পাকিস্তানের সংগে কি আদৌ বাংলাদেশ তুলনীয়?
 
আগেই বলেছি পাকিস্তানে গুম, খুন, রাষ্ট্রিয় হত্যাকান্ড, নতজানু-নপুংসক প্রেসিডেন্ট ও বিচারবিভাগ নেই। গণতন্ত্র বাংলাদেশের চেয়েও অনেক উন্নত। চেতনাবাজী নেই। মুহাম্মদ (সা) কে গালি দিয়ে কেউ পার পেয়ে যায় না।
 
পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে ঠিক কি আমদানী করে- বলতে পারবেন?
আজ কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলে পথে বসবে বাংলাদেশের টাওয়ালসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসা-বাণিজ্য। সে ভয়েই বাংলাদেশ ওপথে হাঁটার স্পর্ধা দেখায় না।
 
পাকিস্তান বাংলাদেশকে দু’পয়সায়ও গুনে না। তাদের না গুনলেও চলে! কিন্তু বাংলাদেশের চলবে না।
 
পাকিস্তান ভারতকে টনার আগায় রাখে। কথায় কথায় ভারতীয় সৈন্যদের ‘সাইজড’ করে দেয় সীমান্তে। আর বাংলাদেশী মরে ভারতীয় বিএসএফ এর গুলিতে।
 
কিসের যোগ্যতার তুলনা বাংলাদেশের?
চেতনার তুলনা!
 
প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের সংগে বাংলাদেশকে তুলনায় নিতে পারলে ‘বাংলাদেশ আজ গর্ববোধ করতে পারতো’।
 
পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বকাপ ঘড়ে তুলেছে আরও ২০ বছর আগে। পাকিস্তানী জোড়ালো সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ আইসিসিতে সবসময়ই, অপরদিকে ভারতীয় বাঁধার সম্মুখীন হয়ে চলছে প্রতিনিয়ত এই বাংলাদেশ এখনও।
 
পাকিস্তানের কিন্তু কোথাও বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন পরে না।
 
পাকিস্তান কিছু ব্যর্থতা সত্বেও আজ স্বগৌরবে পাকিস্তান হয়েই বিশ্ব দরবারে দাড়িয়ে রয়েছে। অন্তত যারা বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে সামন্যও ধারণা রাখেন- তাদের এটা বলে দিতে হবে না।
 
এই বিশ্বের একমাত্র মুসলিম পারমানবিক ক্ষমতাধর দেশ পাকিস্তানকে সমীহ করে চলে এমন দেশের সংখ্যা শতাধিক। আর বাংলাদেশ- কি যোগ্যতা! চোরের দেশ হিসাবে? না কি মিসকিনের দেশ? বটম লেস বাস্কেট!
 
পাকিস্তানের সমপর্যায়ে পৌছানো বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব নয়।
 
কিন্তু সেজন্য আমাদের গণতন্ত্রকে, আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে, মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উন্নত করতে হবে।
 
বর্তমানের নষ্ট সংবিধানটি উপড়ে ফেলতে হবে।
লিখতে হবে গণমুখী পরিচ্ছন্ন সংবিধান যা মানুষকে সভ্যতা শিখাবে, রাষ্ট্রকে ভদ্র হতে বাধ্য করবে। জনগণ শুধু কষ্টের টাকায় ট্যাক্সই দিবে না- রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের সভ্যতাযুক্ত শিক্ষা, শিক্ষা শেষে কাজ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।
 
বাংলাদেশের যা কিছু উন্নয়ন তার ম্যাক্সিমাম সম্ভব হয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে। বাংলাদেশের ঈর্ষনীয় বৈদেশিক আয় আসে মাত্র দু’টি খাত থেকে। একটা প্রবাসী আয় অপরটি গার্মেন্টস ও রপ্তানী থেকে। দু’টোই করছে বেসরকারী খাত।
 
আমরা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যেতেই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশের সরকারগুলির ব্যর্থতার জন্য আজও আমাদের পাকিস্তানের পেছনেই থাকতে হচ্ছে।
 
বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠলে শুধু পাকিস্তান কেন, ভারত, মালয়েশিয়া, চায়নার মতো দেশকেও টেক্কা দেয়া সম্ভব মাত্র কয়েক বছরেই- বাংলাদেশের মানুষের সেই কর্মদক্ষতা রয়েছে।
 
কিন্তু ‘বাংলাদেশ সরকার’ বাংলাদেশের সবচে বড় শত্রু।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *