২০০০ সালের কথা বলছি!
তখনও অবধি গুগল সেভাবে মার্কেটে আসতে পারেনি।
আর সেই সময়ে ইন্টারনেটও শুধুই উচ্চাভিলাসীদের জগতে সীমাবদ্ধ। সাধারণ মানুষ একটু নিজের সেলফোন দিয়ে কথা বলতে পারলেই যেন স্বর্গ হাতে পেয়ে যেতো।
সে সময় গ্রামীন ফোন দিয়ে ১ মিনিট ‘মোবাইল টু মোবাইল’ এ কথা বলতেই মিনিট প্রতি ৭টাকা গুনতে হতো। তাও মোবাইল ফোন দিয়ে ল্যান্ড নাম্বারে কল করা যেত না। ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে কথা বলতে খরচা করতে হতো মিনিট প্রতি ৩৬ টাকা। সেই আমলের ৩৬ টাকা – যখন ১টি ডলারের বিনিময়ে মিলতো ৪২ টি করে টাকা; যা এখন ৮৬ টাকার সমমান। সেসময় মিডিল-ইষ্টে বা ইওরোপ-আমেরিকায় কথা বলতে মিনিট প্রতি খরচ হতো পাক্কা ৮৬টাকা।
সেই আমলের ইন্টারনেট শব্দটির নামও অনেকে শুনেনি।
আমি ১৯৯৮ সাল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছিলাম। তখন আমার ঢাকার নবাবগঞ্জে একটি কমপিউটার স্কুল ছিলো। সিটিসেল এর একটি এএমপিএস (AMPS – Advanced Mobile Phone System) টেলুলার দিয়ে মিনিট প্রতি ৩টাকা খরচ করে আমি ডায়াল-আপ সংযোগে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের বেশী ব্যবহার করতাম না। ওতেই দিনে প্রায় ১০০ টাকা খরচ হয়ে যেতো; যা মাসে ৩০০০ টাকা। তখন তা অনেক টাকাই বটে।
যাই হোক, ২০০০ সালে আমি আমার প্রচন্ড লাভজনক কমপিউটার স্কুলের ব্যাবসাটি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় মুভ করলাম নতুন ব্যবসা নিয়ে। উদ্দেশ্য নবাবগঞ্জে পরে থাকলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবো না; বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পরবো- সেটা করা যাবে না বা উচিত না।
পরিচিত বুদ্ধিমান লোকেরা আমাকে বোকা ভাবতে শুরু করে দিলো। এত্তো সুন্দর ব্যবসা কি কেউ ছেড়ে দেয়! মাথা নিশ্চয়ই খারাপ হয়ে গেছে! কতটা বোকা হলে এমন একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা ছেড়ে চলে যায়?
অবশ্য সেটা আমার জন্য কোন সমস্যাই না।
কারণ আমি ‘পিছে লোকে কিছু বলে’ নিয়ে ভাবি না। তখনও ভাবতাম না, এখনও ভাবি না, ভাবার সময়ই পাই না। ভাববো কখন?
আসলে আমি ভেবে পেতাম না যে, আমাকে নিয়ে তারা ভাবে কেন?
আমি যেহেতু সেই পিচ্চি বয়সেই সম্পূর্ণ নিজের পরিশ্রম, মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে মাত্র ৪/৫ বছরে একটি লোভনীয়-লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি- সেহেতু আমি চাইলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। আমার ভাবনায় ছিলো, যে ছেলে নবাবগঞ্জের মতো মফস্বলেই একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারে; তারপক্ষে ঢাকা শহরের মতো বিশাল প্লাটফর্মে ঢের বড় কিছু করা সম্ভব। আর যদি সুযোগ পাওয়া যায় নিউ ইয়র্ক সিটিতে- তাহলেতো কোন কথাই থাকতে পারে না!
আমি জীবনটাকে সমসময়ই চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখি।
আমি শুধুমাত্র একটা বিষয়ই জানি- আমার হাত যদি লম্বা হয় এবং মাথা যদি ঠিক-ঠাক চিন্তা করতে পারে; তাহলে কোন চ্যালেঞ্জেই আমি পরাজিত হবো না।
সুতরাং আমার কাজও ছিলো দু’টোই।
আমার নিজের নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে, অর্থাৎ হাতের দৈর্ঘ্য বড় হবে। আর দুই, ঠিক-ঠাক চিন্তা করতে হবে। আর ঠিক-ঠাক চিন্তা করার জন্য জ্ঞানের চর্চায় বিরতি দেয়া যাবে না।
কেন জানি না, টাকা রোজগারের জন্য আমি কোনদিনই পরিশ্রম করিনি। আমি পরিশ্রম করেছি ’টার্গেট বাস্তবায়ন করতে। যেটা যখন মাথায় এসেছে- যুক্তিযুক্ত, চ্যালেঞ্জিং এবং আনন্দময় মনে করেছি সেটা নিয়ে কাজ করেছি।
কোন কাজে আনন্দ না পেলে আমি সেই কাজ করতাম না; এখনও করি না। আর এই কারণে আমি কোনকালেও চাকুরী করিনি। আমার কাছে বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর মনে হয়েছে। আরেকজনের অর্ডার আমাকে বাস্তবায়ন করতে হবে- অথচ কাজটা আমার ভালো লাগছে না! এটা কেমন কথা? আমি করবো না।
সেই ২০০০ সালে আমি ডায়াল-আপ লাইন দিয়ে মাসিক আনলিমিটেড ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার শুরু করি। গণফোন এর ইন্টারনেট তখন সবচে ভালো সার্ভিস দিতো। একটি আলাদা টিএন্ডটি ল্যান্ডেফোন দিয়ে
মডেমের সাহায্যে ডায়াল করে নেট সংযোগ করতে হতো। সাড়ে ৬ হাজার টাকা নিতো গণফোন প্রতিমাসে।
আমি বলতে গেলে ২৪-ঘন্টাই কানেক্টেড হয়ে অনলাইনে থাকা শুরু করি তখন থেকেই। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ও নেটস্কেপ নেভিগেটর দিয়ে তখন ব্রাউজ করতাম। গুগল তখনও ব্রাউজার হিসাবে পরিচিত পায়নি বা বাজারে আসেনি। কয়েক বছর পর আসলো অপেরা ব্রাউজার। তারপর থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাদ দিয়ে অপেরা দিয়ে ব্রাউজ করতাম।
তখন ছিলো ইয়াহু আর এমএসএন হটমেইল এর যুগ।
ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেই বেশী মজা পেতাম। হটমেইল আমার তেমন পছন্দ ছিল না। ইমেইল হিসাবেও ইয়াহু-ই ছিলো আমার বরাবরই প্রথম পছন্দে; এখনও সেই একই ইয়াহু ইমেইল আইডি ব্যবহার করে আসছি।
সোসাল নেটওয়ার্কিং বলতে তখন কিছুই ছিলো না।
তাই বলে অনলাইন চ্যাটিং বন্ধ ছিলো না। আমরা ইয়াহু ম্যাসেনজার এ বিভিন্ন রুমে ঢুকে চ্যাট করতাম। এছাড়া আরও বেশ কিছু চ্যাটিং সাইট ছিলো যেখানে আধিপাত্য ছিলো ইন্দোনেশিয়া আর ফিলিপিন্সের মেয়েদের। ওসব রুমে ঢুকে দিন পার হয়ে যেতো।
পুস্পিতা নামের একটি ইন্দোনেশিয়ান মেয়ের সংগে আমার বেশ ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেলো চ্যাটিং করতে করতে। মেয়েটি এখনও আমার ফেইসবুকে ফ্রেন্ড হিসাবে রয়েছে। অষ্ট্রেলিয়ার বসবাসরত বাংলাদেশী মেয়ে মুক্তার সংগে বেশ কয়েক বছর কথা হতো- কবে যে সে কোথায় হারিয়ে গেছে এই বিশাল পৃথিবীতে – ভুলেই গিয়েছিলাম। হঠাৎই এখন তার নামটি মনে হলো।
ঐ সময়টাতে ইয়াহুর প্রতিদ্বন্দি ছিলো (এওএল) এবং এমএসএন হটমেইল। ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার এবং এমএসএন ম্যাসেঞ্জার দিয়ে তখন আমেরিকার যে-কোন টেলিফোনে বিনামূল্যে কথা (ভয়েজ কল) বলা যেত।
এমন কোন দিন ছিলো না যে, আমি আমেরিকান ২-চার’টে অপরিচিত বা অজানা টেলিফোন নাম্বারে ডায়াল করে দুষ্টমী না করতাম। কে ফোন ধরতো, সে বিরক্ত হচ্ছে কি না কিছুই ভাবতাম না। আমেরিকার কোন এক পুলিশ স্টেশনে ফোন করা ফেলেছিলাম- তাদের সংগে দুষ্টমী করতে ছাড়িনি।
ইয়াহুতে সারাদিন হাবিজাবি যা মন চাইতো সার্চ করতাম।
কিভাবে আমেরিকায় যাওয়া যাবে, ওখানে গিয়ে কি করা যাবে? কি ব্যবসা করবো? প্রতি ঘন্টায় ওখানে কত ডলার আয় করা সম্ভব? কি ব্যবসা করলে সুবিধে হবে – সবকিছু।
আর এসব সার্চ করতে গিয়ে প্রায়ই দেখতাম বিভিন্ন ওয়েব পোর্টাল চলে আসতো যেখানে এক্সপার্টদের সংগে আধা ঘন্টা বা ১ ঘন্টা কথা বলা যায়। কিন্তু বিনিময়ে তাদের টাকা দিতে হবে! ১ ঘন্টা কথা বলতে ১০০ বা ২০০ ডলার পেমেন্ট করতে হবে!
অবাক হতাম!
কথা বলতেও টাকা?
এ আবার কেমন দেশ রে বাবা?
অবশ্য পরে ভেবে দেখতাম আমাদের বাংলাদেশের ডাক্তাররাও তো শুধুই কথা বলার জন্যই আমেরিকানদের চেয়েও ঢের বেশী টাকা নেয়। তাহলে আমেরিকানদের দোষ কোথায়?
এসব করতে করতে টাকার পেছনে কখনও দৌড়িয়েছি বলে মনে পরে না। কিন্তু এটা বুঝতে পারতাম যে আমি নই; বরং টাকাই যেন আমার পেছন পেছন দৌড়াতো। দৌড়ায়। না হলে চলি কিভাবে?
আমেরিকায় এসে জীবিকার জন্য কি করা যাবে – তা নিয়ে আমেরিকায় আসার আগেই প্রচুর ভাবতাম। ভেবে কোন কুল কিনারা খুঁজে পেতাম না। দেশে বসে আমেরিকার এনভার্নমেন্ট বুঝতে পারতাম না। শুধু শুনতাম সেখানে নাকি প্রতি ঘন্টায় ১০ ডলার, ১২ ডলার পাওয়া যায়। কিন্তু কি কাজ করলে পাওয়া যায়- সেটা নিয়েই চিন্তিত থাকতাম। আমি কি করবো সেখানে গিয়ে?
হঠাৎ একদিন মাথায় একটি বিষয় চলে আসলো!
হিসাব করলাম বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় তখন ছিলো মোটে ১৩০০ ডলার। অর্থাৎ মাসে ১০০ ডলারের কিছু বেশী। হিসাব করতে লাগলাম যে আমি আমার ড্রাইভারকেই তো প্রতি মাসে ১৮০ ডলার বেতন দিই; পিয়নকে দিই ১০০ ডলারেরও বেশী। আমার স্টাফদের দেয়া বেতন বাংলাদেশের জাতীয় মাথাপিছু আয়ের চেয়েও শতগুন বেশী। তাহলে আমি কেন আমেরিকায় জীবিকা নিয়ে চিন্তা করবো? এই চিন্তাটা তো আমাকে মানাচ্ছে না!
আমেরিকায় জনপ্রতি বার্ষিক আয় মোটামুটি ৬৫ হাজার ডলার।
অর্থাৎ মাসিক আয় সাড়ে ৫ হাজার ডলার।
বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে মাথা পিছু আয়ে যদি আমি বহুগুন উপরে থাকতে পারি; তাহলে অন্তত আমেরিকার ৩২ কোটি মানুষের সমান সমান হতে পারবো না কেন?
যদি না পারি তাহলে আমি তো মানুষ হবারই যোগ্য নই!
সুতরাং আমেরিকায় গিয়ে জীবিকার জন্য কি করবো- সেটা নিয়ে ভাবনা করা ছেড়ে দিলাম। বুঝলাম চিন্তাটা আমাকে ছোট করে দিচ্ছিলো। ছোট হওয়া চলবে না।
আমেরিকায় এসছি ৭ বছর হয়ে গেছে।
গত ২ বছর আমেরিকা লকডাউনের কবলে পরে বন্ধ। এখন টুকটাক খুলতে শুরু করেছে।
এখানে আসার বছর খানেকের মধ্যে কয়েকজন হোয়াইট এটর্নীর সংগে ঘনিষ্ঠতা হয়। এদের একজন আমাকে ইমিগ্রেশন নিয়ে ব্যবসা করার পরামর্শ দেন। তার প্রস্তাবটি আমার কাছে বেশ অভিনব মনে হলো। আইনের ‘আ’-টুকুও তো আমি জানি না। তার উপর আবার আমেরিকার ইমিগ্রেশন আইন।
কিন্তু আগেই তো বলেছি, যেখানেই চ্যালেঞ্জ – সেখানেই আমি আনন্দ পাই। অফিস নিয়ে শুরু করে দিলাম ব্যবসা। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস যে হোয়াইট এটর্নীর বুদ্ধিতে আইন ব্যবসা শুরু করলাম, অফিস নেবার ১ মাসের মধ্যে সেই এটর্নী নিজেই এফবিআই এর হাতে ধরা খেয়ে ৫৭ মাসের জন্য জেলে ঢুকে গেছে। পরে জেনেছি তার অপরাধ – সে ৪০০ মানুষকে গ্রীনকার্ড করে দিতে ভুয়া কাগজ ব্যবহার করেছে আর ঐ সব ভুয়া কাগজ বিগত ১ বছর ধরে নিয়মিত এটর্নীকে সরবরাহ করতো এফবিআই এজেন্টরাই। লে হালুয়া!
ওদিকে আমার অফিস নেয়া হয়ে গেছে।
মহা বিপদে পরে গেলাম।
কি করা যায়?
ভরসা একটাই, ধরা খাওয়ার আগে এটর্নী মারিজান সিভিজানকেনিন আমাকে খুবই আন্তরিকতার সংগে জটিল কিছু বিষয় হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আমি জানি না কেন তিনি আমাকে ওসব শিখিয়েছিলেন? তিনি শুধু আমাকে বলতেন, তুমি ব্যবসাটা শুরু করো- আমি তোমার সাথে কাজ করবো।
মাত্র মাস খানেকের শেখা জ্ঞান নিয়েই আমি ব্যাবসাটি চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত স্থির করলাম। হেরে যাওয়া চলবে না। তারও বছর খানেক আগে আরও একজন হোয়াইট এটর্নীর সংগে আমার পরিচয় হয়েছিলো। ভদ্রলোক খুবই সাদামাটা, মোটেও ডায়নামিক নন- একটু বোকা টাইপ তবে ভদ্রলোক। আমি তাকে আমার সংগে কাজ করার জন্য অফার দিলাম। কাজ প্রতি টাকা দিবো এই শর্তে।
সে রাজী হয়ে গেলো।
বুঝলাম, সফলতা পাবো এখানেও।
আমেরিকায় এটর্নী ছাড়া আইন ব্যবসা করা যায় না।
আমি এটর্নী নই। তবে আরও মজার বিষয় হচ্ছে- ইমিগ্রেশনের অধিকাংশ কাজেই এটর্নীর প্রয়োজনই হয় না। আমি ঐ ফাক দিয়ে ঢুকে গেলাম। ফ্রি স্ট্যাইলে ইমিগ্রেশন নিয়ে চুটিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেলাম আর বিভিন্ন ফোরামে এক্সপার্ট এটর্নীদের সংগে সলাপরামর্শ করতে লাগলাম।
আমার সংগে এখন ৩ জন হোয়াইট এটর্নী নিয়মিত কাজ করেন; তাদের একজন জুইস যিনি আবার টানা ১২-বছর ইমিগ্রেশন কোর্টের বিচারক ছিলেন।
এদেশের জাদরেল এটর্নীদের সংগে দেখা করে ১৫-বিশ মিনিট কথা বলতেও টাকা দিতে হয়। কেউ বা ১০০ আবার কেউ বা ৩০০ ডলারও নিয়ে থাকেন।
আমি এটর্নী নেই।
এটর্নী না হওয়ায় আইনী কোন পরামর্শ দেবার আইনগত কোন ‘অধিকার’ আমার নেই। কিন্তু আমার সংগে অনেকেই কথা বলতে চান।
আমি না চাইলেও, অনেকেই শুধু কথা বলে আমাকে জোর করে পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে যায়।
আজও ২০০ ডলার একজন পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে গেল মাত্র আধা ঘন্টা কথা বলে। আমি মাঝে মধ্যে প্রায়ই ভেবে পাই না যে কেন টাকা আমার পেছনে ছুটে।
তবে, একটা বিষয় ভাবি যে, এক জীবনে একজন মানুষের কত টাকা দরকার? একদিন চলে যেতে হবে। তখন? কি করবেন সঞ্চিত টাকাগুলো?
প্রয়োজনের বেশী উপার্যন কি খুবই জরুরী?
টাকার পেছনে না ছুটে জ্ঞানার্জনের পেছনে ছুটে চলার আনন্দটুকু কি – টাকা দিতে পারে কখনও?
পারে না।
টাকার সেই ক্ষমতা নেই।