ওল্ড ইজ গোল্ড


চায়নাতে ভিন্ন ভিন্ন শহর বা প্রভিন্স ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে ভরা। যেমন শেনজেন শহরটি গড়ে উঠেছে হংকং এর আদলে; না শহর এর চেহারার আদলে নয়- ব্যবসার আদলে। ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমসহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য শেনজেন অসাধারণ।
 
আবার গুয়াংজু শহরটি আরেকটু ভিন্ন। ওখানে বছরে দু’টি মেলা হয়; ওই মেলা দু’টি-ই (ক্যান্টন ফেয়ার) এই পৃথিবীর সবচে বড় বাণিজ্য মেলা। গুয়াংজুর চামড়া ও পোষাক শিল্পও অসাধারণ।
 
ওয়েনজু শহরটি আবার মেশিন লাইনের জন্য বিখ্যাত। যারা মেশিনারী নিয়ে ব্যবসায় করেন তারা ছুটেন ওয়েনজু শহরে।
আর, আমার প্রিয় স্যাংহাই হলো- ভারী শিল্পের শহর। হেভী ইন্ডাষ্ট্রিজ এর জন্য স্যাংহাই পৃথিবীর সেরা শহর।
এবং গাড়ীর জন্য শেনডং প্রভিন্স ও বেইজিং বিখ্যাত।
শেনডং প্রভিন্সের রাজধানী হলো জেনান।
 
জেনান খুবই ছোট এবং ছিমছাম একটি শহর কিন্তু অনেকটা বাংলাদেশের কুমিল্লা বা ময়মনসিংহ টাইপ শহর; যদিও বিশালতায় অনেক বড় এবং মনোমুগ্ঘকর।
 
জেনান গেলাম ২০০৬ এ।
ফাইভ ষ্টার হোটেলের ভাড়া মাত্র ১২০ আরএমবি। আমি তো মহাখুশী। কমপ্লিমেন্টারী ব্রেকফাষ্ট। ওয়েল কাম ড্রিংকসও পেলাম।
বিকেলে হাটতে বের হলাম। এটা আমার একটা বৈশিষ্ট্য। যে কোন শহরে প্রথমবার গেলে হোটেলে ব্যাগেজ রেখে, ফ্রেস হয়ে তারপর একটি ভিজিটিং কার্ড নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে হাঁটতে বের হই।
যদি ফিরতে পারি চিনে চিনে- তো ভাল। নইলে কার্ডটি কোন ট্যাক্সি ড্রাইভারকে দিলেই হোটেলে পৌছে দেয়।
 
হাঁটছি। একটা ফ্লাই ওভারে কাজ চলছিল। আমি নীচ দিয়ে হাঁটছি। চায়নায়ও কিন্তু বাংলাদেশের গ্রামের মতো সাপ্তাহিক হাট মিলে। ওদিন ওখানে হাঁটবার ছিল। আমি হাটে মজা করে হাঁটছি। হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম সেখানে ক্যাসেট প্লেয়ার এবং অডিও ক্যাসেট বিক্রি হচ্ছে!
আমি কিছুটা হতবাক হলাম। বাংলাদেশ এ ক্যাসেট এর স্থান সিডি দখল করে নিয়েছে সেই নব্বই এর দশকে। আর এখানে এখনও ক্যাসেট, টেপওয়ালা ক্যাসেট? আমি দর্শক তাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম।
 
চায়নার শহরগুলিতে- বিশেষত শেনজেন, গুয়াংজু আর স্যাংহাইতে দেখেছি বিকেল হলেই পিচ্চি পিচ্চি ছেলে-মেয়েরা (বিভিন্ন ফরোয়ার্ডার ও লজিষ্টিক কোম্পানীর কর্মচারী) ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের হ্যান্ডি মোভারে করে কার্টুন/ প্যাকেট নিয়ে দৌড়াচ্ছে (বাংলাদেশের মতো মাথায় বস্তা নিয়ে নয়), পৌছে দিতে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে। নতুন নতুন সদ্য প্যাকিং করা কার্টুন- অদ্ভুৎ লাগতো দেখতে। অামি বিষয়টা উপভোগ করতাম খুবই।
 
আমি চায়নাতে গেলে সাধারণত ৪/৫ দিন থাকতাম। আমি ওখানে থাকা কালে প্রথম যেই শহরের যে হোটেলে উঠতাম- সেই হোটেলের ঠিকানাটা আমার ঠিকানা হিসাবে ব্যবহার করতাম। বিভিন্ন শহর থেকে আমার কাছে অসংখ্য স্যাম্পল আসতো- চায়না পোস্টে ও কুরিয়ারে। বিশেষ করে এসএফ এক্সপ্রেসের সার্ভিস ছিল অসাধারণ ও সস্তা। দেখা যেত বেইজিং থেকে একটা স্যাম্পল বা পার্সেল চলে আসতো ১ দিনেই সেনজেন শহরে- আমার হোটেলে।
 
চায়না যে কোথায় এগিয়ে যাচ্ছে, কতটা উচ্চতায় তরতরিয়ে উঠে যাচ্ছে- সেটা বোঝা যেত ওই দৃশ্যটি দেখলেই। আমার সত্যিই খুব ভালো লাগতো দৃশ্যটি, কল্পনায় ভাবতাম, নিজের দুঃখী দেশটাকে নিয়ে! কতগুলি চোর-চোট্টা বাংলাদেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
 
৩৬ কোটি হাত, মাত্র ১৮ কোটি মুখের খাবারও জোগাড় করতে পারে না! অন্য কাজ কখন করবে? সবাই শুধু ব্যস্ত নিজের ক্ষমতা আর পান্ডিত্য প্রকাশের প্রতিযোগীতায়।
 
১৪তে উড়ে এলাম আমেরিকায়।
এখানে না আসলে- দুনিয়ার কিছুই জানতাম না। জানতে পারতাম না।
এই দেশটা সত্যিই অসাধারণ। মজা করে বলি পাগলের দেশ। এখানে সবাই পাগল।
এখানে ফেডএক্স, ইউপিএস এবং সরকারী পোষ্ট অফিস ইউএসপিএস (ইউনাইটেড ষ্টেট পোষ্টাল সার্ভিস)- ওহ! কি যে এদের সেবা! কি যে এদের সার্ভিস!
 
বাংলাদেশে বসে পৃথিবীর কোন কিছুই ধারণা করাও সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বুদ্ধি সীমাবদ্ধ।
বাংলাদেশের পোষ্ট অফিস (বাংলাদেশ ডাকঘর) মূলত নিজেদের মূল ব্যবসায় বন্ধ করে দিয়ে তারা বেশী আগ্রহী এবং ব্যাংকিং সার্ভিস, ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড এসবে আগ্রহী। নগদ টাকা আছে- বাংলাদেশ ব্যাংক ষ্টাইলে যদি কিছু করার সুযোগ আসে- আসতেও তো পারে?
 
বাংলাদেশের মানুষ পোষ্ট অফিস ব্যবহার করে কি না সন্দেহ।
আর্জেন্ট পার্সেল ডেলিভারী’র জন্য এসএ পরিবহন আর সুন্দরবন পরিবহনই ব্যবহৃত হয়। পোষ্ট অফিসে কোন চিঠি ছাড়লে কবে প্রাপকের ঠিকানায় পৌছবে- কেউ জানে না। অাদৌ পৌছে কি না সন্দেহ।
বাংলাদেশে থাকতে আমারও ধারণা ছিল- এখন তো ইমেইল এর যুগ, চিঠি-পত্র তো সেকেলে ব্যাপার!
 
যাই হোক। আমেরিকায় দেখলাম, আমার এই ধারণাটিও ভুল।
যদিও এরাই অনলাইন, ইমেইল এর জন্মদাতা, তথাপিও এখানে দেশটা চলছে চিঠি-পত্রের উপরই।
ইউএসপিএস এর সার্ভিস দেখলে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।
আমেরিকায় বেশীর ভাগ মানুষ কেনাটাকা করে অনলাইনে। আমাজন, ই-বে এই দু’টি শপিং প্লেস অসম্ভব জনপ্রিয় এবং নেতৃত্বে রয়েছে। এদের সকল মালামাল ডেলিভারীর জন্য ইউএসপিএস, ইউপিএস ও ফেডএক্স বিরামহীন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে!
 
আমি ইউএসপিএস নিয়ে কিছু কথা বলবো।
আমেরিকায় একটি সাধারণ চিঠি পোষ্ট করতে খরচ পড়ে ৪০ সেন্টের মতো।
মজার বিষয়টা হলো- এখানকার সবকিছুই কাষ্টমাইজড। আপনি আপনার নিজের চেহারা দিয়েও পোষ্ট অফিসের টিকেট বানিয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া টিকিট কিনতেও পাওয়া যায় পোষ্ট অফিসে বা গ্রোসারীতে। কিন্তু এটা পোষ্ট অফিসের কোন ব্যবসাই নয়! ওহ, ট্রাকিং ষ্টিকারও পাওয়া যায় ফ্রিতে। টিকেট লাগিয়ে ট্যাকিং ষ্টিকার লেপ্টে দিন। তারপর অনলাইনে দেখুন- আমার প্রেরিত চিঠিটি কোথায় আছে?
 
কিন্তু এই মাধ্যমটি এখন অজনপ্রিয়।
ইউএসপিএস এর ওয়েব সাইটে চলে যান। রেজিষ্ট্রেশন করে নিন। তারপর আপনি বানিয়ে নিন আমার লেবেল। শিপিং লেবেল। ১দিন, ২দিন বা ৩দিন অথবা সপ্তাহের মধ্যে ডেলিভারী দেবার লেবেল ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বানিয়ে নিন।
অনলাইনে অর্ডার করুন- আপনার কতগুলি কি সাইজের, কি টাইপের এবং কোন ইনভেলপ লাগবে? ফ্রি চলে আসবে যত খুশী আপনি চান। আমি বাজি ধরে বলতে পারি, এক একটা সাধারণ এফোর সাইজ ইনভেলপ তৈরীতে মিনিমাম ২ ডলার খরচ রয়েছে- অথচ এরা তা ফ্রিতে দিচ্ছে।
 
এরপর পোষ্ট অফিসে অথবা আপনার পাড়ার ড্রপ বক্সে ছেড়ে দিন।
 
ওহ। আপনি ব্যস্ত। পোষ্ট অফিসে বা ড্রপ বক্স পর্যন্ত যেতে চাচ্ছেন না? সময় নেই? অথবা আপনার পার্সেলটি ভারী।
নো প্রোব্লেম, অনলাইনে ‘স্কাজুয়াল’ করে দিন। পোষ্ট অফিসের গাড়ী চলে আসবে আপনার বাসায়- আপনার চিঠিটি বা পার্সেলটি পিকআপ করতে- এবং এটাও ফ্রি সার্ভিস!
 
এই দেশে চিঠিপত্র ছাড়া কোন কাজ হয় না। ইমেইলে অথবা অনলাইনে ইন্সট্যান্ট কাজ হচ্ছে কিন্তু প্রিন্টেড ডকুমেন্ট আপনি পাবেন আপনার বাসার ঠিকানায়। সরকারী যোগাযোগ, পাসপোর্ট সেবা সবই ইউএসপিএস দিচ্ছে। অাগারগাঁও এর মতো কোন আলাদা পাসপোর্ট অফিস নেই এখানে।
 
আপনি রাস্তায় বের হলে সারাদিনই দেখতে পাবেন রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব সার্ভিসের গাড়ীগুলি। একটা দেশ যে কতটা সচল- সেটা ওসব গাড়ী দেখলেই বোঝা যায় অতি সহজে।
 
আমেরিকার পোষ্ট অফিসগুলি ঢাকার ডিএইচএল এর চাইতেও সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, আধুনিক।
ডিএইচএল জার্মান কোম্পানী- আমেরিকাতে এর তেমন একটা পাত্তা নেই।
 
ফেডএক্স এর মোট ৬০০ টি নিজস্ব কার্গো এয়ারক্রাফটই রয়েছে এবং এটিই বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো সার্ভিস।
 
ফেডএক্স এবং ইউপিএস অনেক এক্সপেনসিভ; সেই তুলনায় ইউএসপিএস অনেক চিপ।
 
ইউএসপিএস এর একটা ব্যক্তিগত ঘটনা শেয়ার না করে পারছি না।
আমি আমেরিকায় আসার পর মাস ছয়েক নিউ ইয়র্ক থেকেছি। তখনই আমি ইউএসপিএস এর সংযুক্ত স্ট্যাম্পস ডট কমে একটা একাউন্ট করি। ওরা মাসে ১৮ ডলার সার্ভিস চার্য কাটে কিন্তু অনেক সেবা পাওয়া যায় এটা থেকে এবং টিকেট বা লেবেল তৈরীতে ডিসকাউন্ট দেয়।
আমি নিউ ইয়র্কের এড্রেস দিয়ে একাউন্টটি খুলি। ডালাস চলে গেলাম। থাকলাম মাস তিনেক- তারপর ফিরে আসলাম আবার নিউ ইয়র্কে।
 
কিন্তু ফিরে আসার আগে আমার তো অনেক মালামাল হয়ে গেছে। প্রায় ৪/৫ হাজার ডলারের ফানির্চারগুলি সব ডালাসে ফেলে দিয়েই আসতে হলো। কিন্তু অতি জরুরী কিছু তো নিয়ে আসতে হবে! কার্টুন তৈরী করলাম প্রায় ১৩টি।
 
বেশী জরুরী যেগুলি- সেগুলি ওয়ান-ডে ডেলিভারী সার্ভিস লেবেল তৈরী করলাম। কিন্তু লেবেল তৈরীর পর দেখলাম, একটা ভুল করে ফেলেছি। আমি প্রেরকের ঠিকানায় ডালাসের ঠিকানা সিলেক্ট না করে ভুলে নিউ ইয়র্কের ঠিকানা সিলেক্ট করে ফেলেছি। বিষয়টা ধরতে পারলাম- যখন দেখলাম মাত্র ২০ ডলার করে চার্জ কেটেছে। অথচ চার্জ কাটার কথা মিনিমাম ৫০ ডলার।
অামার ভেতরে বদমাইশী প্রচুর। দেখতে চাইলাম- ইউএসপিএস কি করে? সংশোধন করলাম না ইচ্ছে করেই। অনলাইনে পিকআপ দিয়ে রাখলাম। আমি কার্টুনগুলি আমার ডালাসের বাসার গেটের সামনে ফেলে রেখে সকালের ফ্লাইটে নিউ ইয়র্ক চলে আসলাম।
 
পরদিন খুব সকালে দেখি আমার নতুন বাসায় গেট নক করছে এবং আমার নাম ধরে একজন ব্লাক ডাকাডাকি করছে। গেট খুললাম, আমার সেই ২টি প্যাকেট এসে হাজির, সরাসরি জেএফকে দিয়ে।
আমার কি হাসা উচিৎ?
 
যাই হোক, চায়নার কথা বলেছিলাম; বিকেল বেলা অসংখ্য লজিষ্টিক কোম্পানীর কর্মচারীরা হান্ডি মুভারে করে নতুন নতুন কাটুর্ণে ভরে- সেগুলি নিয়ে দৌড়া দৌড়ী করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে।
 
আমেরিকায় কোন প্রডাক্ট বলতে গেলে তৈরী হয় না। এখানকার শ্রম অনেক দামী। এতো দামী শ্রম কাজে লাগিয়ে প্রডাক্টশনে গেলে- পোষায় না। কাজেই আমেরিকা সারা পৃথিবী থেকে আমাদানী নির্ভর একটা দেশ।
বিমান, উপগ্রহ আর অস্ত্র ছাড়া আমেরিকায় বলতে গেলে তেমন কোন প্রডাক্ট নেই। কৃষিপণ্য অবশ্য এখানে প্রচুর হয়। কমপিউটার এর সফটওয়্যার, সোসাল মিডিয়া ইত্যাদিও এরা তৈরী করে- তবে সেটা বুদ্ধি দিয়েই। নাসায় বর্তমানে ৩৩ হাজার বিজ্ঞানী কাজ করে শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে- গবেষনায়।
এরা শুধুমাত্র বুদ্ধি রপ্তানী করে, অন্য কিছু না। মাথার বুদ্ধিই এদের একমাত্র প্রোডাক্ট।
 
তো, চায়নার সেই প্যাকেটগুলি চলে আসে আমেরিকায়। নিমবো সী-পোর্ট থেকে মাত্র ১২ দিনে সীপে চড়ে চলে আসে লসএঞ্জলেস পোর্টে। ওখান থেকে পুরো আমেরিকায় ডেলিভারী। অন্যান্য বন্দর দিয়েও হয়; তবে ওটাই প্রধান।
 
আমেরিকার রাস্তায় নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোন ময়লা বা বাতিল কার্টুন ফেলা নিষেধ। এক এক দিন এক এক এলাকায় বিকেল ৬টার পর কালো প্লাষ্টিকে ভরে ময়লা এবং খালি বা ব্যবহৃত কার্টুনগুলি রাস্তায় রেখে দিতে হয় এবং সন্ধ্যার পর গাড়ী এসে তা নিয়ে যায়।
 
সেই চায়নার ঐ কার্টুনগুলি সব এই আমেরিকায় এসে খালি হয়।
এবং সন্ধ্যার পর আমি ঠিক সেই কার্টুনগুলি আমেরিকার রাস্তায় পরে থাকতে দেখি।
 
আমি অন্য এক আনন্দ পাই। সম্পূর্ণ অন্য আনন্দ।
একটি কার্টুনের জন্ম, পথচলা এবং মৃত্যু’র রচনাও হতে পারে আমার আজকের লেখাটি।
 
আর হ্যাঁ।
এই আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের জ্যামাইকা সেন্টারের একটা ইলেকট্রনিক্স শো-রূমে সেদিন দেখলাম ক্যাসট প্লেয়ার এবং সেই টেপওয়ালা ক্যাসেট বিক্রি হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ থেকে বলতে গেলে ফ্যাক্স সার্ভিস উঠে গেছে। বাংলাদেশ আধুনিক দেশ! ফ্যাক্স তো পুরোনো সার্ভিস। কিন্তু এই আমেরিকায় ফ্যাক্স এখনও অন্যতম একটা যোগাযোগ মাধ্যম। আমার নিজেরও একটা ফ্যাক্স রয়েছে- সময় ও চাহিদার প্রয়োজনে।