আসুন আমরা অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেলে দিই!
অবাক হচ্ছেন শিরোনাম দেখে? না কি হাসছেন?
ভাবছেন শেখ হাসিনা অনেক শক্তিশালী!
বিএনপি রাস্তায়ই নামতে পারছে না- আর আমার কিনা ফেসবুকে বসেই হাসিনাকে ফেলে দেবো?
আমি কিছু হিসাব দিই।
দেখুন কাজ হবে। কাজ হয়েই যাবে।
কিন্তু তার আগে জানতে হবে কেন আওয়ামী লীগকে ফেলে দিতেই হবে?
– বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার একটি অনির্বাচিত, অবৈধ সরকার- যারা পুরো জাতির ঘাড়ে উপর চেপে বসেছে।
– শেখ হাসিনা দেশ থেকে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নির্মূল করেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, কারো মানবাধিকারও নেই। বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে পুলিশ বাহিনী দিয়ে গুম বা খুন অথবা জেলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।
– দেশের সাবভৌমত্ব ভারতের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা। ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে চুষে চুষে খেয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনা’র ঊদ্ধত্বপূর্ণ প্ররচনা পেয়ে। ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত। ট্রান্সশিপমেন্টের নামেও কোন টাকা দিচ্ছে না। ফ্রিতে আমাদের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের পায়তারা শুরু করেছে। দেশের একমাত্র মনোগ্রাভ সুন্দরবন ধ্বংসের লক্ষ্য নিয়ে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসাচ্ছে।
– একটা জাতির মেরুদন্ড হলো শিক্ষা। শেখ হাসিনার শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা একটি পরিকল্পিত দূরাভিসন্ধীমূলক মিশন- যাতে দেশের মানুষ কোনদিনও মাথা তুলে দাঁরাতে না পারে কোনদিনও।
– দেশের অর্থ ব্যবস্থাপনা বিশ্রঙ্খলতায় পরিপূর্ণ আজ। জনগণের সম্পদ ১২ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গত বছর লাপাত্তা হয়ে গেল- কারো কোন দায় নেই। দেশের প্রবাসীদের ঘাম ঝড়ানো কষ্টার্জিত আয় এবং গার্মেন্টস থেকে অায়ের সমন্বয়ে বৈদেশিক রিজার্ভ থেকেও এই সরকার টাকা চুরি করতে দ্বিধাবোধ করছে না।
– শেখ হাসিনার পরিবার দেশের টাকা পয়সা যে যেভাবে পারছে চুরি করে টাকা পাহাড় বানাচ্ছে; কিন্তু দেশের মানুষের হাতে কোন টাকা নেই। ব্যবসা স্থবির। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসে যাবার অবস্থায় রয়েছে। কর্মচারীদের ঠিক-ঠাক বেতনও দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ৫০০র উপর গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই- আরও ২০০০ গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বেকার হয়ে পরেছে।
– অপরদিকে কথিত উন্নয়নের নামে- যে কাজ ১০ হাজার কোটি টাকায় করা সম্ভব; সেই কাজে হাত সাফাই করছে জনগণের কষ্টের ৫০ হাজার কোটি টাকা। তাও কন্সট্রাশনে ব্যবহার করছে রডের বদলে বাঁশ- যাতে সহসাই ওসব স্থাপনা ভেংগে পরে। এরকমভাবেই একের পর এক মেগা প্রজেক্টের নাম করে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে যাচ্ছে ঠান্ডা মাথায়, বিনা বাঁধায়।
– সব অথর্ব আমলা, অফিসার দিয়ে প্রশাসনকে সাজানো হয়েছে। দেশে মেধাবীদের কোন সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ৮০% মুসলিমদের দেশে প্রশাসনের সিনিয়র পদবীগুলিতে ৬০% হিন্দু অফিসার নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছে। দেশের মুসলিমদের উপর ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়বহতম সাম্প্রদায়িক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে, মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
– জনগণের টাকায় কেনা বন্দুক, গুলি ব্যবহার হচ্ছে আজ জনগণের বুকেই। আমার টাকায় গুলি কিনে আমার বুকে পরীক্ষা করা হচ্ছে পুলিশের হাতের নিশানা! পুলিশ যেখানে যাকে পাচ্ছে তাকে হয়রানী করে যাচ্ছে, চাঁদাবাজী হচ্ছে দেশের নিরীহ জনগোষ্ঠীর উপর। মিথ্যা মামলা, জংগী ট্যাগ বা মাদক পাচারের নামে ফাঁসানো হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছে না।
– শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৯০% ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের। শেখ হাসিনা দেশের সেনাবাহিনীকেও বিশ্বাস করে না। বড় বড় অফিসারদের নগদ টাকা খাইয়ে তাদের নপুংসক করে ফেলা হয়েছে।
– দেশে ভালো মানের কোন শিক্ষা নেই, চিকিৎসা সেবার নামে অসুস্থ পরিবারকে হয়রানীর পর হয়রানী পোহাতে হচ্ছে। সীমান্তে ভারতীয়রা (বিএসএফ) কথায় কথায় গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা করে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক হামলায় নিরীহ মুসলিমদের বাংলাদেশে ঢুকতে না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যেখানে দেশের মানুষেরই মানবাধিকার নেই- সেখানে বিদেশীদের তো ‘তা’ থাকার কথাই নয়- হাসিনার আমলে।
– মানুষের কষ্টের সঞ্চয়কৃত বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ভেংগে প্রতিমাসে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ২ লাখ ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রার ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রিয় সম্পদের যতটুকু সম্ভব শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে অলরেডী লিখে নেয়া হয়েছে।
– এমনকি প্রকাশ্য বলা হচ্ছে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’। শেখ হাসিনাকে কে দিল বাংলাদেশটা? ২০১৪’র কথিত বিনা ভোটের নির্বাচনে ৫% মানুষও ভোট দিতে যায়নি। সেই নির্বাচনের দোহাই দিয়ে জবরদখল করে লুটেপুটে আজ দেশটাকে খেয়ে শেষ করে দেয়া হচ্ছে।
– তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের নামে শেখ হাসিনার পেটি-কোর্ট বসিয়ে কতগুলি ‘অসুস্থ্য ও লোভী’ বিচারপতিদের দিয়ে কোন স্বাক্ষী বা যুক্তির তোয়াক্ত না করেই দেশের মেধাবী, সৎ ইসলামী ব্যক্তিত্বদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা। এমনকি তাদের নিরীহ ছেলেদের দিনের আলোতে বাড়ী থেকে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে ‘গুম’ করে ফেলেছে এই শেখ হাসিনা। ইসলামী ব্যাংকের মতো অত্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত, বহুবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি ব্যাংকও জবরদখল করে ধ্বংশ করে ফেলার সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন।
দেশের মানুষের আজ রুদ্ধশ্বাস অবস্থা।
কেউ প্রতিবাদও করতে পারে না। প্রতিবাদ করলেই তাকে শেষ করে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই আবারও শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে আরেকটি নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করার পায়তারা করে যাচ্ছে।
এই মুহুর্তে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পছন্দের দল বিএনপি ‘হতচ্ছারা’ অবস্থায় সময় পার করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের হত্যা, নির্যাতন করে দাবিয়ে রাখা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, এমনকি বিএনপি কোন আন্দোলন, মিছিল, মিটিং পর্যন্ত করতে পারছে না। দলটির ব্যর্থতা চরমে গিয়ে ঠেকেছে।
আসল সত্যটি হলো দেশের সাধারণ মানুষ- সত্যিকারার্থে, ‘শেখ হাসিনা’কে সরিয়ে ‘খালেদা জিয়া’র হাতেও দেশের দায়িত্ব দিতে কোনই ভরসা করছে না। দু’জনকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এর বাইরে কিছুই ভাবা সম্ভব না।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ছেলে তারেক রহমান তার নেতৃত্বের কোন ক্যারিশিমাই দেখাতে পারছে না। দেশের বিশাল একটা জনগোষ্ঠি এখনও মন্দের ভালো হিসাবে হলেও বিএনপিকে চাচ্ছে। অথচ, তারেক রহমান এমন এক নেতা- যে কিনা লন্ডনে শুয়ে শুয়ে ঘুমাচ্ছেন!
তারেক রহমান সামান্য একটা ফেসবুক বা টুইট করেও মানুষকে চাঙ্গা রাখার দায়িত্ববোধও দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। একটা ফেসবুক একাউন্ট করে, একটা টুইটার একাউন্ট করে সেখান থেকে প্রতি মুহুর্তে দিক নির্দেশনা দেয়া যায়। প্রয়োজনে ‘ফেসবুক লাইভ’ ব্যবহার করে কথা বলা যায়। ফেইসটাইম ইউজ করা যায়! বিএনপি কর্মীরা কতটা উজ্জিবিত হবে এরকম কিছু দিক নির্দেশনা তারেক সাহেবের কাছ থেকে পেলে- ভাবা যায়? না, অতটুকু মেধা তারেকের নেই। দায়িত্ববোধও নেই।
কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষও তো চুপ করে চোখ-মুখ বুজে সহ্য করে যেতে পারি না।
কিছু একটা তো আমাদের করতে হবে। নইলে যখন এদেশের মাটিতে ভারতীয় পতাকা পতপত করে উড়বে- তখন চোখের পানি ফেলা ব্যতীত আর কিছুই করার থাকবে না।
অবশ্য ভারত বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যেই যতটুকু নিয়ে নিতে পেরেছে- তাতে তাদের পতাকা না উড়ালেও চলবে!
দেশটা শুধু ভারতই হবে না। মুসলমানিত্ব নিয়ে বসবাস করাটাও অসম্ভব হয়ে পরবে- সময় আসছে। কাশ্মিরের দিকে তাকান! দেখুন কিভাবে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে! আরাকান দেখেন- সেখানে মুসলিমদের কি হচ্ছে চোখ দিয়ে দেখুন। আপনার-আমার অবস্থাও কিন্তু সেদিকেই যাচেছ!
অথচ, এই আমরা, সাধারণ মানুষরা যদি চাই- তাহলে আমাদের ‘অতি সামান্য শক্তি’টুকু ব্যবহার করেও কিন্তু এই অবৈধ নির্লজ্জ্ব শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিতে পারি।
আমাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। আমি তো একা নই! আমি, আপনি, আপনি করে কিন্তু আমরাও ন্যূনতম ৮০% মানুষ এই অবৈধ সরকারের অধীনে অার একটা মুহূর্তও থাকতে চাই না।
১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটি মানুষই আমরা চাই না শেখ হাসিনা আর এক মুহূর্তকালও ক্ষমতায় থাকুক। না। বার কোটি মানুষেরও দরকার নেই। স্রেফ ২ কোটি মানুষও যদি ‘আমরা’ অল্প কিছু সিদ্ধান্ত নিই- শেখ হাসিনা দুই বছরের মধ্যে পালানোর রাস্তা খুঁজবে এই দেশের পবিত্র মাটি থেকে।
মনে রাখতে হবে- আমরা একটা যুদ্ধাবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি।
ছাত্র লীগ, যুব লীগ, ইয়াবা লীগ, গাজা লীগ, শিশু লীগ, ধর্ষক লীগ, ইভটিজিং লীগ, বদরুল লীগ এবং পুলিশ লীগেরা আজ সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।
আমরা চাইলে- এই অবৈধ লীগদের সমূলে উৎপাটন করতে পারি।
এবং আমাদের তা করতেই হবে।
এটা আমাদের পবিত্র দেশ। এই দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। আপনার। এ দায়িত্ব থেকে আপনি পিছু হঠতে পারেন না।
আসুন আমরা মাত্র ২ কোটি মানুষ মিলে আজ, এখুনি, এই মুহুর্ত থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অবৈধ ভারত নিয়ন্ত্রিত সরকারের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্র উদ্ধার ও মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ’ শুরু করে দিই। নইলে যে অনেক বেশী দেরী হয়ে যাবে। তখন আমরা আর পেরে উঠবো না। ততদিনে দেশটা আমাদের থাকবে না।
আমরা কি কি করতে পারি?
– বর্তমান অবৈধ সরকারকে ‘সম্ভব’ সবরকম সহায়তা বন্ধ করে দিবো। সরকার মানুষের টাকা পয়সা লুটে পুটে খাচ্ছে। যেসব খাত থেকে সরকার আয় করে- সেখানে আমরা হাত দিবো। টাকার অভাবে ফেলে দিতে হবে প্রথম ধাঁপে।
যেমন:
১) আপনি প্রতিদিন মোবাইলে গড়ে ১০০ মিনিট কথা বলেন। সকলে আমরা আজ থেকে চলুন কথা বলা অর্ধেক করে দিই। প্রতিমিনিট ৫০ পয়সা করে রেট ধরলে এখান থেকে দৈনিক সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছেন ১০ টাকা। আপনি আপনার ঐ কথা বলা ৫০ মিনিটে নামিয়ে নিয়ে আসেন। সরকারের আয় কমে যাবে ৫ টাকা। ২ কোটির সংগে ৫ টাকা গুন করুন। ১০ কোটি টাকা দৈনিক আয় কমে যাবে সরকারের। মাসে ৩০০ কোটি টাকা আয় কমে যাবে। এতেই সরকারের বাজেটে টান পরা শুরু হবে।
আমরা বরং আরেকটা কাজ করতে পারি। মোবাইলে কথা বলা এক প্রকার বন্ধই করে দিতে পারি। আপনি বরং অনলাইনে (ফেসবুক, ভাইবার, ইমু, হোয়াটসআপ বা ওইচ্যাট) এ যোগাযোগ করুন। ওখানে কথাও বলতে পারেন। বা টেক্সট চালাচালি করতে পারেন। এতেও মোবাইল কোম্পানীগুলির উপর চাপ পড়বে এবং সরকার রেভিনিউ হারাবে। বিদেশ থেকে যার দেশে কথা বলেন- তাদের জন্য সরাসরি ফোন না করে অনলাইনের কথা বলার ব্যবহার বৃদ্ধি করেন। আপনার খরচ কমবে, আধুনিক প্রযুক্তিতে থাকবেন।
২) ব্যাংকগুলিতে আপনার ডিপোজিট রয়েছে। কারো এফডিআর রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার তহবিল রয়েছে- আপনার, আমার। সব টাকা তুলে ফেলুন। যার যার সামর্থ্য মতো সিংগাপুর, হংকং, দুবাই, চায়না বা লন্ডন, আমেরিকার নিরাপদ ব্যাংগুলিতে সঞ্চয় গড়ুন। দেশের সরকার যখন ভালো হবে- তখন টাকা ফেরত নিয়ে আসবেন। বেশী টাকা না থাকলে- টাকা অন্য কোনভাবে সঞ্চয় করুন। ইউএস ডলার ক্রয় করে লুকিয়ে রাখতে পারেন। টাকা মার খাবে, ইউএস ডলার মার খাবে না।
মাত্র ২ কোটি মানুষ এই কাজটা করুন, হাসিনার টনক নড়ে যাবে। পালানোর রাস্তা খুঁজবে। মাথামোটা ঘিলু ছাড়া অর্থমন্ত্রী মালের মাথার বুদ্ধিতে কুলোবে না- পরিত্রানের উপায় বের করার।
সে ঝটপট নতুন টাকা ছেপে- পরিস্থিত সামাল দিতে চেষ্টা করবে। এতে অবস্থার আরও অবনতি হবে। মুদ্রাস্ফিতি সৃস্টি হবে। আপনার হাতে ডলার থাকবে- সেটার মূল্য বাড়বে। আপনি ঠকবেন না।
৩) আমরা যারা বিদেশে বসবাস করছি- আমরা সকলে এখন থেকে দেশে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিবো। সরকারের বৈদেশিক রিজার্ভে টান পড়বে ১ মাসের মধ্যেই। যদি খুব বেশী টাকা পাঠাতেই হয় পরিবারের কাছে- প্রয়োজনে হুন্ডি করেন। এখন আমরা যুদ্ধের মুডে আছি- যুদ্ধক্ষেত্রে সভ্যতা বা শিষ্টাচারের কোন স্থান নেই। অবৈধ চোরা হাসিনা সরকারকে ফেলে দিতে হবে- এটাই মুল লক্ষ্য। ভদ্রতা দেখানোর সুযোগ পরে আমরা প্রচুর পাবো। তখন দেশটাকে সাজাবো।
স্রেফ ৩টি সহজ বুদ্ধি দিলাম।
আপনি আন্ত্ররিক হোন- যদি সত্যিই শেখ হাসিনাকে ফেলে দিয়ে দেশটাকে বাঁচাতে চান। ৬ মাসের মধ্যে দেশে টাকার ক্রাইসিসে পরে যাবে। রিজার্ভ ফান্ডে টান পরবে। সরকারী কর্মচারী, পুলিশ, আর্মীর বেতন দিতে পারবে না সরকার। তখন আসল খেলাটা শুরু হবে।
প্রবাসে আমরা ন্যূনতম এক কোটি লোক বসবাস করি এবং প্রতিমাসে দেশের রিজার্ভ সমৃদ্ধ করে চলছি। আমাদের এই কষ্টের টাকায় জমাকৃত পাহাড়সম রিজার্ভ শেখ হাসিনা ও তার অবৈধ সরকারের লোকেরা লুটে পুটে খাচ্ছে!
কেন আমি তা সহ্য করবো?
দেশে থাকতে প্রতি বছর আমি নিজে লাখ লাখ টাকা ট্যাক্স দিয়েছি। আপনি ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিন। কেন আপনার কষ্টের টাকায় শেখ হাসিনা আনন্দ ফূর্তি করবে আর আপনি সময় মতো চিকিৎসার জন্য টাকা পাবে না। সন্তানের স্কুলের অর্থ যোগাতে ঘাম ঝড়াবেন?
আরও একটা কাজ আমরা করতে পারি। প্রয়োজনে দায়িত্ব নিয়ে আমি নিজে সেটা করবো।
আমরা অনলাইনে আমাদের এসব কার্যক্রমের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে গণস্বাক্ষর নিবো। ২ কোটি ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে আমরা তার কপি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ আমেরিকা, বৃটেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়ার হাতে তুলে ধরবো। তাদের হস্তক্ষেপ চাবো- দেশে একটা ‘চমৎকার’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। তারা অামাদের সাহায্য করতে বাধ্য হবে। আমরা ‘অহিংস অর্থনৈতিক আক্রমন’ সানাবো শেখ হাসিনার দূর্গে।
এবং আরেকটা কাজও করতে হবে। দেশী প্রাইভেট টেলিভিশনগুলিরও প্রচন্ড বাড়-বেড়েছে। বাসার ডিস সংযোগ বন্ধ করে দিন। কোন দেশী চ্যানেলই দেখবেন না। আমি আপনাদের বিদেশী সব চ্যানেল, ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলিসহ ফ্রি বা অল্প খরচে দেখানোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিবো। এতে হাসিনার খবর হাসিনাকেই দেখতে হবে শুধু। সংগে মার খাবে দেশের কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের বাজার। এসব টিভিগুলি বন্ধ হয়ে যাবে।
আর এই রকম একটা যুদ্ধ যদি আমরা শুরু করে দিতে পারি এবং বিএনপি ও সমমনা, তারেক রহমান ও জামায়াতে ইসলামীসহ সকল সৎ মানুষদের যদি সংগে পাই- আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আমরা বিজয়ী হবোই।
এটা একটা অহিংস আন্দোলন। আপনি আপনার টাকা- কি, কিভাবে, কোথায় রাখবেন সেটা আপনার বিষয়। দেশে টাকা পাঠানো বন্ধ করলে কেউ কি আপনাকে কিছু বলবে? দেশের ব্যাংকের টাকা তুলে নিলেও কেউ আপনাকে কিছুই বলতে পারবে না।
কাজেই এটা অতি সহজ একটা বিষয়। আপনি যদি মোবাইলে কথা না বলেন, কোন দেশী টিভি চ্যানেল না দেখেন- আপনাকে তার জন্য কারো কাছেই জবাবদিহি করতে হবে না। এমনকি কেউ তা জানবেও না। কিন্তু চুড়ান্তভাবে সরকারী লুটপাট থেমে যাবে। হাসিনা পালানোর রাস্তা খুঁজবে।
শেখ হাসিনাকে ফেলে দেয়া শুধুই সময়ের ব্যাপার!
এটা হবে সম্পূর্ণ অহিংস আন্দোলন- মুখে নয় কাজে।
গুম, খুন বা গ্রেফতার হবার কোন ভয় নেই, স্বতফূর্ত অংশগ্রহণেও বাধা নেই; কেউ টেরও পাবে না।
বাংলাদেশ স্বাধীন করো- যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পর।
কেমন হল শ্লোগানটা।
আমি বিশ্বাস করি, আপনি চাইলে এরচেও ভালো কিছু সংযুক্ত করতে পারবেন।
এরচেও ভালো কিছু করে দেখাতে পারবেন।
অভাগা বাংলাদেশটা আপনার দিকেই যে তাকিয়ে রয়েছে …