অপূর্ণ দুটি শখ


১৯৯৬ সালে (সম্ভবত) অধুনালুপ্ত ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ এর ননএসি কোচে জীবনে প্রথম বার রাঙামাটি ও কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে চট্রগাম এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। যদ্দুর মনে পরে ভাড়া কেটেছিলাম ১২০ টাকা। জীবনের প্রথম লং জার্নি বাই বাস, সব কিছুই মুগ্ধতায় ভরে ছিল। তখনকার ঢাকা চিটাগাং হাইওয়ে এতো প্রশস্তও ছিল না অবশ্য এতটা ট্রাফিকও তখন ছিল না। ছয় ঘন্টায় চিটাগাং পৌছে গিয়েছিলাম।
 
সময়, দিন, মানুষ পাল্টেছে। সারা পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দূরত্বকে জয় করছে প্রতিনিয়ত। এখন ঢাকা থেকে বাসে চট্রগাম যেতে সময় লাগে কম-বেশী ১০ ঘন্টা- এটা অবশ্য শোনা কথা, আমি সড়ক পথে দীর্ঘ ৮ বছর চট্রগাম যাই নি। শেষ বার গিয়েছিলাম ২০০৬ সালে- তাও ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে। ট্যাফিক আর ট্রাফিক। ট্রাকগুলি একটু আস্তে চললেও হাইওয়ে বাসগুলি ছোট গাড়ীকে ‘মানুষ’ই মনে করে না। খুব ভয় ছোট গাড়ীতে বাংলাদেশের হাইওয়েতে যাতায়াতে।
 
চিটাগাং হয়ে কক্সবাজার যাব। আমার ড্রাইভারগুলির মধ্যে সবচে যে ২/৩ জন ড্রাইভার ভাল ড্রাইভ করতে তারমধ্যে একজন ছালাম ওদিন ড্রাইভ করছিল। চৌদ্দগ্রামের উপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার স্পীডে এগিয়ে যাচ্ছি। তখনই সাংহাই থেকে আমার বন্ধু ‘পানপান’ এর ফোন। গাড়ীর চলমান আওয়াজ বুঝতে পেরে জানতে চাইলো কোথায় যাচ্ছি? বললাম কক্সবাজার, একটু সুন্দর করেই বললাম পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
 
কৌতুহলী হয়ে এটা ওটা জিজ্ঞেস করে এক পর্যায়ে বলল, ঢাকা থেকে কতটুকু দূর; বাংলাদেশ তো শুনেছি খুব ছোট দেশ। আমিও হ্যাঁ সূকক উত্তর দিয়ে বললাম সাড়ে তিনশত কিলোমিটারের মত।
 
পানপান বলল, ‘ওহ। তাহলে তো তিন চার ঘন্টার জার্নি। খুব একটা কষ্টতো হবার কথা নয়’। আমি হাসলাম। যখন বললাম যে ঢাকা থেকে ওখানে পৌছতে মোটামুটি ১২/১৩ ঘন্টা সময় লাগে- ও তো বিশ্বাসই করবে না। এটা কিভাবে সম্ভব? পানপান হিসাব মেলাতে পারেনি? কোনদিন পারবেও না, পারার কথাও না। শেষটায় বাধ্য হলাম দাওয়াত করতে যে, এসো- এসে বাস্তবতা দেখে যাও; ট্রাফিক কি জিনিস।
 
সাংহাই আমার দেখা অন্যতম ব্যস্ততম শহর। আমি নিজে একদিন পুডং এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে জ্যামে মোটামুটি ২ ঘন্টা আটকে ছিলাম। কিন্তু সেটা শহরের ভেতর, কোন হাইওয়েতে নয়। সাংহাই শহরের রাস্তাঘাট মোটামুটি ৪ তলা বিশিষ্ট্য। তিন তলা রাস্তার উপরে আর মাটির নিকে আরেক তলা। মাটির নিচ দিয়ে মূলত ট্রেন চলে আর তিন তলা চার তলা ফ্লাইওভার পুরো শহর জুড়ে। আমি তিন তলার নীচে কোন রাস্তা সাংহাইতে দেখিনি। সত্যিই খুব ভালবাসি সাংহাই শহরটিকে আমি।
 
যাক, মূলত যা বলতে আজ কী-বোর্ডে আঙ্গুল চালাচ্ছি- তাই বলি।
সাংডং প্রভিন্সের রাজধানী জেনান থেকে চিনতাও (Qingdao) যাব। চিনতাও চীনের সবচে স্বাস্থ্যকার শহর হিসাবে পরিচিত। ইয়োলো সাগরের পাশে খুব ছোট একটি শহর। সাগর পারি দিলেই দক্ষিন কোরিয়া। চাইনিজরা এবং কোরিয়ানরা ভ্রমনের জন্য চিনতাওকে খুব ভালবাসে। অবশ্য আমি যাচ্ছি ব্যবসায়ের কাজে। জেনান থেকে বাই-রোডে দূরত্ব মোটামুটি ৪০০ কিলোমিটার।
 
বিমান ভ্রমন ততদিনে আমার কাছে ডাল-ভাতের মতো হয়ে গেছে; শততম বিমান ভ্রমনের সেঞ্চুরী হেকেছি আরো ৪/৫ মাস আগেই।
 
বাই রোডে গেলে দেখতে দেখতে যাওয়া যায়- এ লোভটা সামলাতে পারি কম। তাছাড়া বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া আর নেপালে সড়ক পথে অনেক অনেক ঘুড়েছি কিন্তু চায়নাটা সেভাবে দেখা হয়নি। তাই আগেই ভেবে ছিলাম এরপর থেকে সড়ক পথে চায়নাটাকে একটু দেখবো। যা ভাবা তাই করা।
 
‘এক্সপ্রেস ওয়ে’ নামটা আমি আরো অনেক আগেই শুনেছি। চায়নার সিচুয়ান প্রভিন্সের রাজধানী চেংগু’তে এক্সপ্রেস ওয়ে দেখে আমি মুগ্ধ- রাস্তা এতো সুন্দর ও বিশাল হতে পারে!
 
ওহ্- সিচুয়ান হল চায়নার আরেকটি মজার প্রভিন্স যেখানকার খাবার হলো পৃথিবীর সবচে সুস্বাধু ও প্রসিদ্ধ খাবার। ঢাকাতেও কিছু চায়নিজ রেষ্টুরেন্টে ভুল বানানে ‘সিচুয়ান’ লেখা সাইনবোর্ড দেখতে পাওয়া যায়।
 
বিশ্বজুড়ে সমাদৃত একটি প্রবাদ আছে আছে, ‘কারো যদি লন্ডন শহরে একটি বাড়ী থাকে, সে যদি মার্কিন ডলারে বেতন পায়, কোন জাপানীজ তরুণী যদি হয় তার স্ত্রী এবং সে যদি তিন বেলা সিচুয়ান খাবার খেতে পারে- তবে সে এই পৃথিবীর সবচে সুখী মানুষ’।
 
সিচুয়ানের কথা বাদ।
বলছিলাম চিনতাও নিয়ে। জেনান থেকে বাস ছাড়লো। জেনান বাষ্টস্ট্যান্ডটি ঢাকা এয়ারপোর্টের কথা বাদ- নবনির্মিত কলকাতা এয়ারপোর্টের চেয়েও সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল। বাসষ্টেশন এতো সুন্দর হয় সেটা আমার ধারণায় ছিল না।
কত কিছু যে জানি না এই পৃথিবীতে! নিজেকে সত্যিই খুব ক্ষুদ্র মনে হয় প্রতিমুহুর্তে নতুন কিছু জানার পরপরই।
যাই হোক, গাড়ী চলতে শুরু করলো। খুবই সুন্দর ঝকঝকে ‘হুন্দাই’ কোম্পানীর ৩৬ সীটের একটি বাস। বাসের ভেতরে পরিপাটি বাথরুম। আরও পরিপাটি এয়ার-হোষ্টেজের আদলে বাস-হোষ্টেজ চায়নিজ মেয়েটি একটু পরপর-ই গরম পানি, বিভিন্ন রকমের খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছে। খুব ভাল লাগছিল। ওটা ছিল আমার জীবনের সবচে সেরা বাস জার্নি। কিন্তু এসব ফেলে আমার সবচে যা ভাল লাগছিল তা হলো রাস্তাটি। রাস্তা যে এত সুন্দর হয় এটা আমার ধারনায় ছিল না। বিশাল ৪ থেকে ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। চারশ কিলোমিটার রাস্তা চলতে আমাদের গাড়ীটি একবারের জন্যও কোথাও রেড লাইটের ট্রাফিক সিগনাল পার হয়নি বা কোন ট্রাফিক সিগনাল নেই বলতে গেলে।। রাস্তার দুই পাশেই ষ্টিলের বাউন্ডারী দেয়া। মানুষতো দুরে থাক কোন গরু-ছাগলের পক্ষেও সম্ভব নয় রাস্তায় ওঠে পড়ার। রোড আইল্যান্ডগুলি ফুলে ফুলে সাজানো। অদ্ভুৎ সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন সবকিছু। আমি চায়নার সৌন্দর্য্যে সবসময়ই অভিভূত। চার ঘন্টায় পৌছে গেলাম চিন্তাও।
 
‘চায়না যে কতটা সুন্দর একটা দেশ কিন্তু বিশ্বের কাছে এর সৌন্দর্য কেন এতটা অপ্রকাশিত’ এই অভিযোগটি আমি চায়নার জনপ্রিয় সিডিটিভি-তে আমার একটা ইন্টারভিউ-এ প্রশ্ন হিসাবে করেছিলাম। ওইদিন রাতে আমার কথাটি খুব গুরত্ব দিয়ে তারা প্রচারও করেছিল।
 
যাই তোক, এরপর আমি আরও বহুবার বিশাল মেইনল্যান্ড চায়নাতে বাই রোডে ভ্রমন করেছি। এমনকি সেনজেন থেকে বাই রোডে সাংহাই পর্যন্তও আমি ভ্রমন করেছি প্রায় ২০০০ কিলোমিটার সড়ক পথ। পার হয়েছি পৃথিবীর সবচে দীর্ঘতম ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ হনজু বে ব্রীজ (Hangzhou Bay Bridge)। এক্সপ্রেস ওয়ে যে কতটা বিশাল, সুন্দর, সুশৃঙ্খল না দেখলে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
 
এবার আসি মূল কথায়।
নিউ ইয়র্ক থেকে ডালাস যাবো।
 
আমেরিকা অদ্ভুৎ একটি দেশ- আগেও বলেছি, অথবা বলা যায় পাগলের দেশ। নিউ ইয়র্ক থেকে ডালাসের দুরত্ব প্রায় ২০০০ মাইল বা ৩২০০ কিলো মিটার। বিমানে প্রায় ৪ ঘন্টা সাড়ে চার ঘন্টা লাগে। বিমান ভাড়া ৫০ ডলার থেকে ১৫০ ডলারের মধ্যে উঠা নামা করে। আর সড়ক পথে বিশ্ব বিখ্যাত ‘গ্রে হাউন্ড’ এর ভাড়া ১৫০ থেকে ১৭০ ডলার এর মধ্যে। ট্রেন (এমট্রাক) এর ভাড়া ৪৫০ ডলার।
 
আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বাই রোডে যাব। আমেরিকাটা আমাকে সড়ক পথে দেখতে হবে। বিমানে তো আর কিছু দেখা যায় না। প্রায় ৩৭ ঘন্টার জার্নি। আমার মতো খুব কঠিন মানসিকার মানুষ না হলে দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টার সড়ক পথের জার্নি করা সম্ভব নয়। অবশ্য এসব আমার কাছে খুব স্বাভাবিক। আমি একবার কাঠমান্ডু থেকে সড়ক পথে সোনেওয়ালি দিয়ে গোরাকপুর হয়ে কোলকাতা পর্যন্ত নন ষ্টপ ৪৬ ঘন্টার জার্নিও করেছি। সেই হিসাবে ৩৭ ঘন্টাতো নস্যি!
বিশ্ব বিখ্যাত গ্রে হাউন্ডের যাত্রী সেবা আমার দেখা পৃথিবীর সবচে জঘন্যতম। সাড়ে চারটার বাস যাত্রা শুরু করলো পোনে ছয়টায়।
 
আমেরিকার তৈরী সবকিছুই অত্যন্ত শক্তিশালী, নির্ভরযোগ্য ও মজবুত- কোন সন্দেহ নেই। প্রায় ১৫-২০ বছরের পুরাতন বাসটির এসি কাজ করছে চমৎকার। গ্রীনলাইন বা সোহাগের নতুন নতুন স্কেনিয়া কিংম্বা ভলবো গাড়ীর মত নষ্ট এসি চালিয়ে যাত্রীসেবা তারা দিচ্ছে না এটাই রক্ষে। ২০০০ মাইল যাত্রা পথে প্রায় ১৫/১৬ টি ব্রেক দিল আমাদের গ্রে-হাউন্ড। ২ বার গাড়ী এবং ৬ বার ড্রাইভার বদল হলো। এরমধ্যে মহিলা ড্রাইভার পেলাম ৪ জন।
কুমিল্লার ‘নুরজাহান’ বা বগুড়ার ‘ফুড কোর্ড’ জাতীয় অনেক কিছুই রয়েছে যাত্রা পথে, হাজার খানেক ম্যাকডোনলস, কেএফসি, বার্গার কিং, সাবওয়ে সহ চিকেন ফ্রাইড এর দোকান রয়েছে একটু পরপরই কিন্তু এরা শুধুমাত্র এদের নিজেদের ‘গ্রে হাউন্ড স্টপজে’ই যাত্রা বিরতী দেয় যেখানে ছোট এক বোতল পানি কিনতে হয় সোয়া দুই ডলার দিয়ে। ফ্রি-সীটিং গাড়ী যেখানে যে পারে বসে পরে। নিজেদের লাগেজ পত্র নিজেদেরই ওঠা নামা করতে হয়। যাত্রা বিরোতিতে প্রতিবারই গাড়ী থেকে নামার পর আবার বাড়াবাড়ি রকমের কঠিন ও বিরক্তিকর লাইন ধরে টিকেট/ আইডি চেক করে গাড়ীতে উঠতে হয়। আমেরিকার মাটিতে বসবাস করতে চাইলে সিষ্টেম ও আইনের কারনে মানুষকে ভদ্র হতে হয়; সকলেরই মাথা খুব ঠান্ডা, সবাই চুপচাপ, কোন উত্তেজনা নেই।
 
আমার লেখার মূল বক্তব্য হল রাস্তা নিয়ে। আমেরিকার রাস্তা। আমিরিকার হাইওয়ে।
চায়নার রাস্তা বর্ণনা আমি দিয়েছি; আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু আমেরিকার রাস্তায় নেমে বুঝলাম- আমেরিকা কি জিনিস?
 
এই রাস্তার বর্ণনা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সত্যিই সম্ভব নয়। আমি ভাবতে পারি না কিভাবে এরা এসব রাস্তা তৈরী করেছে। আমি আমেরিকায় নতুন কন্সট্রাকশন চলছে এমন কিছু কোথাও খুব একটা দেখি না। এই রাস্তাগুলি নাকি সবই গত ৩০-৩৫ বছর আগের করা।
 
কি রাস্তার ডিজাইন, কি সাইজ, কি ষ্টাইল।
সত্যি বলতে কি চায়নার সেই রাস্তাগুলিকে (এক্সপ্রেস ওয়ে) আমার এখন ‘খেলনা রাস্তা বা টয় রোড’ মনে হয়। মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরের ট্রেনগুলি ঢাকার শিশুপার্কের টয়ট্রেন এর মতো।
 
আমার মনে হয় না আগামী ৫০০ বছরেও পৃথিবীর কোন দেশ আমেরিকার সামনে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে। আর ততদিনে আমেরিকা কোথায় যাবে- তা আমার কল্পনা শক্তিরও বাইরে।
 
আর একটা কথা- আমেরিকার বেশীরভাগ রাস্তাই কংক্রিটের। পীচ-ঢালাই রোড নয়। এখানের হাইওয়ে লেন, রোড ডিভাইডার, ট্রাফিক সিগনাল কতটা যে আধুনিক, কতটা যে উন্নত, কতটা যে প্রশস্ত, কি পরিমানে সিষ্টেমেটিক এগুলি লিখে বলা সম্ভব নয়। কি যে অপরূপ আর বিশাল রোড ক্রসিং সিষ্টেম!
 
১৪০ কোটি মানুষের দেশ চায়না যখন রাস্তা বা এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরী করছে, শতশত তলা ভবন তৈরী করে যাচ্ছে; পৃথিবীর সবচে বড় অর্থনীতির পথে; উন্নতির শীর্ষে উঠতে প্রযুক্তি ব্যবহারে মনোযোগী; তখন ৩০ কোটি মানুষের দেশ আমেরিকা ব্যস্ত চাঁদ আর মঙ্গল গ্রহে যাবার সহজ রাস্তার নকশা তৈরীতে।
 
তাছাড়া আমেরিকাতো এসব কাজ আরও একশ বছর আগেই শেষ করে রেখেছে। আজ থেকে ১১০ বছর আগে তারা নিউ ইয়র্কের মাটির নিচে যে বিশাল সাবওয়ে করে রেখেছে ওটার বর্ণনা দেয়াও অসম্ভব।
 
নোট:
এখন অবধি আমার সবচে বড় এবং অপূর্ণ শখ দুটি পুরণের অপেক্ষায় রয়েছি।
এক. চায়নার বেইজিং থেকে তিব্বতের রাজধানী লাসা যাব পৃথিবীর সবচে উচ্চতম রেলওয়েতে চেপে; খুবই মনমুগ্ধকর ভ্রমন। অবশ্য একবার সাংহাই থেকে টিকেট কিনতে যেয়ে ফিরে এসেছি। বাংলাদেশীদের কোনভাবেই লাসা ভ্রমনের অনুমতি দেয়া হয় না (যদিও ভারত, নেপাল বা পাকিস্তানীরা যেতে পারে তবে গ্রুপ টু্রে)।
 
আর, দুই. চায়নার রাজধানী বেইজিং থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো যাব ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে। সময় লাগবে ৭ দিন ৮ রাত; বিশাল এক ভ্রমণ।
কত কিছু দেখবো, কত কিছু জানবো, কত কিছু শিখবো! অপেক্ষায় আমি গভীর তৃষ্ণা নিয়ে।